রক্তকরবী – অসীম চক্রবর্ত্তী
মোহের বশেই দেখা –
শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে।
কখনও কেশরাশির শান্ত ঢেউ এ!
কখনও বা চিকন রঙিন ওষ্ঠাধারে!
কখনও বা নিলাভ নেত্র যুগল কোণে!
ধিরে ধিরে হারিয়ে আমি দিনে দিনে।
অফিস ফেলে আসতাম আগেই –
না পড়ি যেন জ্যামে।
উন্মাদ পাগল ছিলাম এতটাই আমি প্রেমে
চার চারটি চাকরি গেল পরপর চলে
সহকর্মীদের অভিযোগ আর কাজের ভুলে
প্রায়শই ভাঙতাম অফিসের রূল
তবুও মোহের আধিক্য রাখতো কুল
অবশেষে একদিন সম্পর্কের উদয়
ভাষায় ভরালো আমার হৃদয়।
জন্মদিন, অমুক দিন, তমুক দিন
উপহার, বাতানুকুল রেস্টুরেন্ট আর ঋণ
এই সবের মধ্যেই আমি চলেছি ধিরে
ডুবে গভীরে অস্থির নীকষ অন্ধকারে
ক্ষণে ক্ষণে দিনে দিনে হয়ে কর্মহীন
মোহিত প্রেমের এক নীরব অর্বাচীন।
অগচোরেই নিঃশেষিত করে এল দুর্দিন
নিভে গেল আলো আশা হল ক্ষীণ
শুধু হৃৎপিণ্ডে ধড়ফড়ানি হয়ে সব বীত
কঙ্কালসার শরীর মাঝে প্রাণখানিই জীবিত
যোগাযোগহীন, সম্পর্কহীন ক্লান্ত এ জীবন
অন্ধকারে ছায়াচ্ছন্ন শোকাচ্ছন্ন মন।
মোহিনী সুন্দরী তার মনোহারিত্ব স্বভাবে
ভরিয়ে বিষ ধিরে অজান্তে নিরবে
নিঃশব্দে কৈতবে মোরে ধ্বংসোম্মুখে
মায়াবী ব্যাভিচারিনী এক রক্তকরবী রুপে।।