রুপময়ী হাওয়র কন্যা ∆ রুদ্র সুশান্ত

প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

হাওয়র কন্যার এতো মুগ্ধকারী রুপ, তোকে অনাবৃত না দেখলে কোন শালায় বুঝতে পারবে না।

ঈশ্বরের চরম সৃষ্টির মায়াবী চন্দ্রিমা যখন লুটোপুটি খায় তোর সুঠান বক্ষে তখন পৃথিবীর যেকোন যুবক স্বর্গের গালে থুথু মেরে প্রাচীনতম চুম্মা দিবে তোর উদ্যমী ঠোঁটে, পেটের দায়ে টিউশন করা ছেলেটা জীবন ভুলে গিয়ে সারা মাসের মাইনে দিয়ে তোর জন্য একটা উজ্জ্বল রক্তিম লিপস্টিক কিনে নিবে অনায়াশে,
পাড়ার বেকার ছেলটা চাকরীর জন্য হন্যি হবে তোর রুপময়ী ঠোঁটের আশায়।
আর এ ধরিত্রীর যেকোনো কবি তাঁর নির্মিত পবিত্র পান্ডুলিপি সহস্র বছরের জন্য বন্ধক দিবে তোর দৃষ্টিনন্দন ঠোঁটের নেশায়।

হাওয়র কন্যা, তুই রাতবিরেতে আমার সাথে শুষ্ক বিছানায় গড়াগড়ি খাবি, আমার বিছানায় একটা মাত্র চাঁদ–তুই। কুঁপি বাত্তির আলোয় তোর মুখে এঁকে দিই ভালোবাসার উদ্যান, তুই পরম তৃপ্তভরে জড়িয়ে নিবি একটা যুবককে।
আহা– কি যে মোনায়েম সুখ!
তোর বক্ষ না হলে পৃথিবীর কোন শালা এ সুখ বুঝতে পারবে না, খালি অবোধ শিশুর মতো হামাগুড়ি খাবে,
তুইও তো জানিস না কুঁপি বাত্তি নিভে যখন চাঁদের আলোয় সজ্জিত হয় তোর সমগ্র দেহ তখন তোর নাভি হয়ে উঠে স্বর্গোদ্যানোর দ্বার।

একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী… সবকটা দিনেই তুই রহস্যময়ী মোনালিসা।
ঈশ্বর হয়তো তোরও প্রেমিক, তুই জানিস না।
তোকে ভালোবেসে ইশ্বর আর কাউকে এমন নয়নাভিরাম করে বানায় নি।

রাসররাতে তোকে চুমু খেয়ে যেকোন যুবক পরবর্তী চব্বিশঘণ্টা মাতাল থাকবে, নতুবা ফের তোর সাথে মৈথুনে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।
তুই পুরোটাই রহস্যময় রুপের কুঞ্জণ।

আমি ভাসতে ভাসতে হাওয়র কন্যা নগ্ন ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছিলাম—আজ অবধি পৃথিবীর পবিত্রতম চুমো হলো এটাই।
তুই চোখ তুলে বলেছিলি … “আমি লজ্জায় মরে যাই”।
আমরা নয়নোৎসবে মিলিত হলাম খোলা আকাশের নিচে, তুই তো বলেছিস- তুই নাকি স্বর্গে যাবিনা।
বললাম কেনো? তুই আবার বললি –“এই তো আমার অমরাবতী”।
সেই দিন আমি বুঝেছিলাম আমিও তোর প্রেমিক হতে পেরেছি। হাওয়রে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা তোর সুডোল বক্ষে আমি যতবার মগ্ন হয়েছি ততবার তোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। তোর আছে রহস্যোপন্যাস, আমি পৃষ্টায় পৃষ্টায় ঠোঁট লাগিয়ে তোকে ইচ্ছে মতন পড়ে নিই।
আমি প্রথম তোর কাছেই জেনেছি, নীরবতা মানে আরো কিছু চায়।

আমি আকাশ হাতের মুঠোয় পুরে বলছি- পরজন্মেও আমি তোকে অনাবৃত করবো।
কন্যা, অমন করে হাসিস না, মানব জাতির ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, আমি তোর কাছে বেহায়া হবো কোটিকোটি বার।

তোর উচ্ছ্বল হাসি ঈশ্বরেরও ধ্যান ভঙ্গ করে, আমরা তো মানুষ মাত্র,
এবার বুঝ্ পৃথিবীর কতো যুবক তোর ঠোঁটে পাগল হতে চায়(?)

আমার বাসরে তোর চাঁদমাখা মুখখানিই সারাক্ষণ জ্বলে। তোর মিলনে আমার প্রতিরাতে বাসর হয়, রুপময়ী।

ঢাকা , বাঙলাদেশ

0

Publication author

0
জন্ম চট্টগ্রামে, বসবাস ঢাকায়।
প্রকাশিত বইগুলো-
১. বঙ্গদেশে স্বর্গবাস (কাব্যগ্রন্থ) প্রকাশ-২০১৬ ইং ‌
২. হাড্ডু মামার ছড়া (ছড়াগ্রন্থ) প্রকাশ-২০১৭ ইং
৩. চন্দ্রাবতীর সাতকাহন (কাব্যগ্রন্থ) ২০১৮ ইং
৪.গণতান্ত্রিক বেদনা (গল্পগ্রন্থ) প্রকাশ ২০১৮ইং
Comments: 0Publics: 12Registration: 15-09-2022
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

পরিচিতি বাড়াতে একে অপরের লেখায় মন্তব্য করুন। আলাপের মাধ্যমে কবিরা সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। জমিয়ে তুলুন কবিতার আড্ডা।