শরতের আকাশ
আমি যতোবার শরতের শুভ্র আকাশটা’কে দ্যাখি
ঠিক ততবারই ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন যৌবনে —
ভিন্ন জৌলুশে আমার চোখের সম্মুখে মেলে ধরতে দ্যাখি
বারবার তাঁর প্রেমে পড়ে নিজেকে বিলিয়ে দেই এক টুকরো ধুসর মেঘের কাছে।
নীলাম্বরীর মাঝে সাদা মেঘের টুকরো গুলোকে শিমুল তুলোর হিমালয় মনে হয় —
পুরো আকাশটা’কে মনে হয় ষোলো বছরের এক যুবতী মেয়ের মতো —
হাজার বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছে আমার মতো এক প্রেমিক পুরুষের।
মেঘের উপর মেঘ — নির্মল বাতাসে উড়ে প্রিয়ার কেশ
ভাসিয়ে নিয়ে যায় দিগন্তের শেষ —
বুকের অলিন্দে কেটে যায় ছেদ।
শরতের নীলাকাশের নীচে যখন কাশবন দ্যাখি —
নিজেকে একুশ বছরের এক নওজোয়ান মনে হয়
মনে হয় হাজার বছর ধরে ঘোমটা মাথায় অপেক্ষা করছে কোন এক কিশোরী
এই বুঝি শরতের বাতাসে মিশে যাচ্ছে মিলনের আহ্বান।
আমি হারিয়ে যাই — বারবার হারিয়ে যাই
হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে পেতে —
প্রেমের উত্তাল ঢেউ তুলে যায় হৃদয় সাগরে
কাশবনের মতো তরঙ্গায়িত হয় হৃদয়ে উত্তাল ঢেউ।
১১/১০/২০২২ইং
জুবাইল, সৌদি আরব