শালবনের লালকমল
“লেখাগুলো পড়ে কি মনে হচ্ছে দাদা”?
প্রশ্নটা শুনে থমকে দাঁড়াই…
মুখটা দেখে চমকে উঠি…
দিন বদলের দৃষ্টিটা ফিকে হলেও
ধিকি ধিকি আগুনটা জ্বলছে ঠিকই!
আর জ্বলবে নাই বা কেন!
এখনও তো দু টাকা কিলো চালের লড়াই
জিতে যাচ্ছে বেনিয়ারা…
সুদের সুদে ভরছে খেরোর খাতা…
চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে মেদের বাহার…
গণবণ্টনে রাষ্ট্র দিচ্ছে পেটের ভাত,
কিন্তু কাটছে সবার হাত…
ভাতটা খাব কি দিয়ে দাদা?
লেখা দেখে কিছু মনে না হলেও
মনে তো পড়লো কিছু…
সমঝোতা স্মারক, আইন-প্রণয়ন,
আর প্রতি মাথা পিছু
গরম শীশার পাহারা মোড়া আগুন নেভানো জল…
ধূসর পদার্থের শিখর ছোঁওয়া
স্বপ্নরা সব আজ করছে টলটল…
জমাট বাধা আলকাতরায় জ্যোৎস্না ছলছল!
“লেখাগুলো পড়ে আর কি হবে দাদা”?
প্রশ্নকর্তা উত্তরদাতা!
আজ এমন শিক্ষক কম,
শিরদাঁড়া হীন সরীসৃপের
ঝুলিতে পাংশু গম…
তবু ওই নিভন্ত চোখের আগুন
জ্বালতে পারে খিদের ফাগুন;
সেই সে বন, আর সেই সে বাড়ি…
দিতেই পারে পাড়ি…
তবে হাত দুটো তো কাটা,
যদি কাঠেরও এক হাত থাকতো
তবেও তারা জানতো…
লালকমলরা লুকিয়ে এখনও
ঠিকই রাক্ষস মেরে ফেলত।