সর্ব সুখ দাও তাকে
হীরাপুরের নাজমিনকে হীরা ভেবে দিয়েছিলাম মন
হীরা যে কয়লা হবে জানতে পারিনি তখন।
সফেদ গায়ের রং,বাতাবী লেবুর মতো ঠোঁট দ্যাখে
সমস্ত হৃদয়ে ভালোবাসার রং দিয়েছিলাম মেখে।
চকচক করলেই হয়না সোনা বুঝিনি তো আগে
নাজমিন ফেলেছিলো আমায় তার রূপের ফাঁদে।
ভাসছি আমি অথৈজলে আঘাত চেপে বুকে —
প্রার্থনা করি প্রভুর দরবারে থাকে যেন চির সুখে।
ভেবেছিলাম সে হবে হীরা-চুনি-পান্না —
আজও কাঁদি আমি অঝোর ধারায় কান্না—
বাঁধতে পারিনি সুখের ঘর,জমিয়েছে পাড়ি করে পর
বুকের ভিতরে তার বিরহে শুকনো পাতার মতো করে মর্মর।
আমি দুর্দম,দুর্মর — মরতে গিয়েও এসেছি ফিরে
আজ নিঃশেষ করছে বিরহ নামক ব্যথার কীড়ে।
প্রেয়সীকে ইথারের মতো বিলিয়ে দিয়েছিলাম সব
সব হারিয়ে আজ আমি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, নির্বাক।
নিস্তব্ধত আমার চাহনি,ফ্যাল ফ্যাল করে দ্যাখি সব
নির্ভয়ে পথ চলি, সুন্দরের পুজো করি —
শহর ছাড়িয়ে অরণ্যে খুঁজি সুখ,হৃদয়ে চির অসুখ
পৃথিবী সম বিরহ বুকের অলিন্দে চাপা।
হীরাপুর নাজমিন প্রণয়ের সুতো ছিঁড়ে বিচ্ছেদে উঠে মাতি
সৃষ্ট পথে হেঁটে যায় প্রণয়ের নিতম্বে সজোরে মেরে লাথি।
দোয়া মাঙ্গি, হায় রব — সর্ব সুখ দাও তাকে
সুখের সূর্য যেনো হাসে সুপারি গাছের ফাঁকে।
২১/১১/২০২২ইং, সৌদি আরব