সে আমার প্রিয়তমা
সে আমার প্রিয়তমা,শত যুগের
কল্পনার প্রিয়তমা;
প্রথম ভালোলাগার ছোঁয়া
বসন্তের দুরন্ত বাতাসে হলুদের
মতো হৃদয় তাঁহার আর ঢের বেশি
সমুদ্রের ঢেউয়ের রাশি।
হ্যাঁ মোনালিসা আমার কল্পনার প্রিয়তমা:-
আমি দেখেছিলাম একদিন কল্পনায়
বিশাল বড় পথ – মেঘেদের আনাগোনা
বিকেলের এক মুহুর্তে;
তারপর দূর অনেক দূর বহুদূর-
নির্মল বাতাস ছড়িয়ে দেয় ঝরাপাতা’কে
আর তাতে আগুন লাগে আমার বুকের গহ্বরে,
ঠিক যেন পরিপূর্ণ জীবন ভাবনায়
খুঁজে পায় মরুভূমির উষ্ণ বালি।
নক্ষত্র’রা চলে যায় বহুদূরে
আমি একা বড়ই একা
জানালা দিয়ে ভেসে আসে
সাদা-কালো ছবি, তাঁহার ছবি
পেয়েছিলাম আমি একদিন অন্ধকার পথে।
তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়
আমাকে কে যেন নিয়ে যায় কেড়ে!
স্মৃতির আয়না প্রান্তরের প্রহরী
আমার গায়ে রক্তমাখা শহীদের পোশাক।
শেষ বিকেলের বিষণ্ণতায়
সে আমার প্রিয়তমা:-
মনে হয় সে যেন স্থিরময় প্রকৃতির প্রেম
এ এক অদ্ভুত প্রেম কল্পনায়,
মোনালিসা, তুমি পৃথিবীতে শুরু
আর আমার হয়ে যাবে শেষ,
নীল চোখ তিলোত্তমা-জোনাকি-নগরী
তুমি তো পেয়েছো ঢের বেশি।
পৃথিবীর পরিবর্তে আর এক পৃথিবী চাই আমি
যেখানে ফুলে ভরা উপত্যকা
আর সেথা সবুজের আর্তনাদ
মোনালিসা, দিতে পারো কি আমাকে
এমন একটা সুন্দর পৃথিবীর খোঁজ?
কী চাই? কী বা পাই? – তাহা বেশি, আমার নয়।।