ভালো হতো যদি
ভালো হতো যদি,
আমার কোলের উপর দুধের মতো সাদা তোমার দুই পা রেখে-
সেই দুই পায়ে মন ভরে আলতা পরাতে পারতাম।
তুমি শুধু আমাকে দেখতে
নিজের মনে কত কথা ভাবতে।
তারপরে, একজোড়া সোনার নূপুর জামার পকেট থেকে বার করে জায়গা করে দিতাম তাদের সেখানে, যেখানে থাকার কথা-
তখন সেই দুই পায়ের সৌন্দর্য বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যকেও হার মানাতো।
ভালো হতো যদি,
মুষলধারায় বৃষ্টিতে তুমি আমি পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ভিজতাম খোলা আকাশের নিচে।
ঈশ্বরের বাসভূমিতে চলতো মেঘের সাথে বিদ্যুতের লীলাখেলা,
মর্তে তোমার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট মাততো অবর্ণনীয় উল্লাসে।
ভালো হতো যদি,
একসাথে পাশাপাশি বসে
বাসে বা ট্রেনে চেপে অনেক দূরে কোথাও যেতে পারতাম,
কত দিন লাগবে পৌঁছাতে এসবের হিসাব করতাম না।
রাত হলে তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়তে-
আর আমি সারা রাত জেগে তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম।
এমন আরও কত কী আছে!
সব কি লেখা যায়?
ওসব এখনও পূরণ হয়নি বলেই তো
আজও ঘর বাঁধার স্বপ্ন না দেখে আশার জাল বুনি।
এই জালে আমার মন তোমার সাথে ঠিক বাতাসের মতো মিশে থাকে।
হয়তো তোমার সঙ্গ কোনোদিন পাবো না,
কিন্তু এভাবে থাকার সুখ
বাস্তবে একসাথে জীবন কাটানোর থেকেও ভালো,
বাস্তবে মুখোমুখী বসে চোখ চাওয়া চাওয়ির থেকেও ভালো,
বাস্তবে ‘আমার তুমি’ ‘তোমার আমি’ বলার থেকেও ভালো।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২২/০৯/২০২৩, বারুইপুর, দুপুর ৩টে