বড়বেলাকে দিলাম পিছিয়ে
আমার ছোটবেলা থেকে,
বড়বেলাকে, দিলাম পিছিয়ে।
একটু, একটু করে উঠছি বড় হয়ে,
বড়বেলায় পৌঁছলাম না গিয়ে।
আমার গোলার্ধে, মাছেরা বাড়ে না,
সবাই কেমন একই ভাবে থাকে।
সবারই কি বেঁচে থাকে ছোটবেলা?
কেউ হতে চায় না বড় হয়ে উঠতে?
খাওয়ার মধ্যে, ঐ’তো একথালা ভাত,
বাঁচার মধ্যে, এই’তো সাদা পাঞ্জাবি।
সেই ছোট থেকে, একইভাবে যেমন,
বদলাতে গেলে, খামচে ধরে, হাতখানি।
বেঁচে থাকতে ভাল লাগেনা?
আহ্লাদে তোমার সুখ কি খোয়াবে?
এমনি, এমনি তবে কেন বাঁচা?
গলা টিপে, ছোটবেলাকে কি মারবে?
পিছতে, পিছতে দেখিস বড়বেলা,
একদিন না, একদিন পিঠ ঠেকে যাবে।
তখন চোখ ফিরিয়ে দেখবি, একা।
ছোটবেলা, তখনও তোর পাশে।
আমার গোলার্ধে, একা থাকতে হয়না।
মাছেরা, নুড়ি, পাথর, জল থাকে পাশে।
ভাল লাগে, এ’ভাবে বেঁচে থাকা,
না হলে, সমস্ত কিছু ফাঁকা লাগে।
ফাঁকা লাগলে, ছোটবেলা পাশে আসে।
চোখ মুছিয়ে দেয়, পাঞ্জাবির হাতায়
মমতায়, গ্রাস তুলে দেয়, থালা থেকে,
নুড়ি, পাথর, মাছ, এ্যাকরিয়াম সাজায়।
আমার এতদিনের বড়বেলা থেকে,
ছোটবেলাকে, দিলাম এগিয়ে।
আয়না, কাছে হাঁটি, হাঁটি পায়ে,
আর একবার, আমাকে সাথ দে।