কমরেডিয়ানা
কমরেডিয়ানা!
ভুলে নাওয়াখাওয়া সময়ের মতো
ঘরকেন্দ্রিক শত শত অভ্যাস যত
ছেড়েছুড়ে, রাজনীতি খুঁড়ে খুঁড়ে
ছুটে কিছু কাছে কিছুটা বা দূরে
সব জায়গায় মঞ্চে মিছিলে স্ট্রিট কর্নারে
কিম্বা প্রয়োজন হলে দলগত ধর্না রে!
চলে নিখাদ নিপাট কমরেডিয়ানা
মার্কসবাদ ছাড়া সব ভুলে থাকার বাহানা!
তার সাথে দলগত আঠা দিয়ে আঁটা
ঢাকুরি’র বাড়ি থেকে পৃথিবীর দিকে
ব্যাগ কাঁধে জোরে জোরে হনহন হাঁটা
কখনো বা দলের শ্রেষ্ঠ কুশলী হয়ে
বিমান বসুর পাশে বসে রাজনীতি ঘাঁটা।
এ পথে হৃদয়কে সে মনে করে কাঁটা!
চলে কমরেডিয়ানা
বাম বাম ছাড়া মাথার ভেতরে
কোনো ভাবে আর কিছু হয় না তো আনা
এই তো হ’ল তার জীবনের বৃত্তান্ত।
বেশি বাম বাম করতে গিয়ে
জীবনে আসেনি কোনো বামা
এলে হয়তো বা হ’ত মহা হাঙ্গামা!
স্ত্রী তাকে নিশ্চয় বেঁধে নিত ঘরে
কিন্তু কমরেড মানে, দলের ওপরে
আর কিছু কোনো মতে থাকতে পারে না
আবেগের টানে নারীর কাছে সে হারে না।
চেহারাটা এত সুন্দর তবু নারীর মোহ না
সারা দিন বাম জলে কমরেড ব’হে নাও!
একদমই বাড়াবাড়ি না করেও
তার প্রেমে পড়ে গ্যাছে কেউ
রমণী স্বীকার করে অন্তত কবিতায়
আর কমরেড মুখে খালি না, না, না, না
যদিও ভেতরে অন্য কিছু আছে, তবু
হৃদয়ের মৌ-ডাক শুনেও না শোনা
দেবোপম এই ভদ্রলোকের কাছে
কম রেডি য়ানা!