কুরবান
এই সমাজে আমার একটা ইজ্জত আছে
কুরবানির ঈদে বড়ো গরুটা কিনতে হবে
ছাগল কিংবা ভেড়া যদি দেই কুরবানি
থাকবে না সমাজে ইজ্জতের ছিটেফোঁটা পানি।
সবাই করবে হানাহানি, ইজ্জতে লাগবে চুনকালি
ধারদেনা কিংবা সুদে এনে দেবো কুরবানি।
চারিদিকে ছড়াবে সুনাম, দিয়েছি বড়ো কুরবান
সাধ মিটিয়ে খাবো গরুর সিনা এবং রান।
মেয়েরা আছে স্বামীর বাড়ি, ইজ্জত নিয়ে হবে টানাটানি
যেভাবে পারি শুধিবো ধারদেনা —
মেয়েরা আসবে নাতি-নাতনী, জামাই নিয়ে —
কুরবানি না দিলে ইজ্জত ঠেকবে কোথায় গিয়ে।
স্রস্টার বিধান মেনে কুরবানি দেয় ক’জন
হারামের টাকায় পশু কিনে মিলে নয়জন
কুরবানি হইলে হইলো না হইলে নাই
পেটভরে খাওয়ার মতো গোশত তো পাই।
কুরবানি এখন পরম্পরা রীতি, স্থান পায়না স্রস্টার নীতি
যাদের উপর ফরজ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত —
তা আদায়ের কেউ ধার-ধারেনা, তাগিদ নেই —
ভোগবিলাসীতায় ডুবন্ত, ডুববে কি-না জীবনের অন্তীম সূর্য।
কুরবানি যাদের উপর হয়নি ফরজ কিংবা ওয়াজিব
তারা-ও খেলা দেখায় আজীব —
জাত যাবার কথা ভেবে, কুরবানি দেয় সুদে —
স্রস্টার হুকুম আহকাম হৃদয়ে হয়নি উদয়ারম্ভ।
কতো ফরজ করছে তরক ভয় জাগেনি দীলে
কুরবানি দিতে না পারলে চেহারা হয় পিলে।
কুরবানির সব গোশত হতো যদি গায়েব —
কেবল খোদা ভীরুরাই কুরবানি দিতো —
বাকিরা সব সালাতের মতো কুরবানিও করতো তরক।
মনে পুষে বন্য পশু, কুরবানি করো ঘরের পশু
কুরবানির পশু কুরবানি-র পূর্বে মনের পশু করো কুরবান
মাড়িয়ে যাচ্ছো খোদার হাজার ফরমান
তারপরও খোদা রাখছে তোর মান।
৩০/০৬/২০২২ সৌদি আরব