আমি হলেম বনবাসী
তুমি হলে প্রবাসী, আমি হলেম বনবাসী
তোমার বিরহে ফুটে না মুখে হাসি
আখো থেকে অশ্রু ঝরে রাশি-রাশি
কৃষ্ণ হ’য়ে বাজাও মম হৃদয়ে বিরহের বাঁশি।
প্রেমের সাগরে নামিয়ে শিখিয়েছিলে সাঁতার
আগে কি জানতাম বন্ধু এতো বিরহ হবে রাধার
রাধার জীবনে এসেছিলে হ’য়ে কৃষ্ণ —
অভাগীর জীবন তুমি ছাড়া আজ কুরুক্ষেত্র।
টাকার পেছনে দৌড়িয়ে ক্ষয় করছো জীবন
জান্তে চেয়েছো কি কখনো রাধার কি প্রয়োজন?
সোনার যৌবন তুমি বিহীন যাচ্ছে ফুরিয়ে
দীর্ঘতম রাত কাটে মোর কোলবালিশ জড়িয়ে।
চাইনা আমি বাড়ি-গাড়ি, হীরা-পান্না-চুনি
তোমার অলিন্দে মাথা রেখে কাটাতে চাই সোনালী দিনগুলি।
চাইনা আমি কোরমা-পোলাও, খাসি কিংবা রোস্ট
পান্তাভাতে লঙ্কাবাটা খেয়ে থাকবো আমি খুশ।
অভাগীরে রাইখা ঘরে হইলা তুমি ভিনদেশী
হতভাগীর কথা মনে হয় কি দিবানিশি?
হাতের মেন্দির রং বিলীন হ’য়েছে হাতে
মনে পড়ে কি তোমার শেষ চুম্বন দিয়েছিলে কোন রাতে?
শিতানের বালিশ যদি কইতে পারতো কথা
শুনতে তুমি তোমার বিরহে রাত জাগার ব্যথা।
কতো বসন্ত এলো আর গেলো —
বিরহী কোকিলা বিরহের গান গেয়ে প্রেমিককে খুঁজে পেলো।
মাদাইন্নাবেলা পিছদরে দাঁড়াইয়া তোমার কথা ভাবি আর ডালিম গাছের পাতা ছিঁড়ি
অজান্তেই গাল বেয়ে টপটপিয়ে পড়ে জল।
দিনটা কেটে যায় কাজে-কাজে
রাতটা একদম বাজে, নেমে আসে দোলাচল সেজে।
তুমি হলে প্রবাসী, আমি হলেম বনবাসী
কষ্টেরা দড়ি পাকিয়ে লাগাতে চায় মোরে ফাঁসি।
আর কতোকাল জ্বলবো হ’য়ে রাধা?
তোমার বিরহে মম হৃদয় আর নেইকো সাদা।
২৭/০৮/২০২২ সৌদি আরব