রুবাইয়াত-ই-বোরহান (একগুচ্ছ)
(১) কও তো তবে!
তোমরা যারা বলছো যেচে সেজে কালের ছা জাতক,
’ওর ডাকে তো প্রেম ছিলো না শুধুই ছিলো কাল পাতক!’
মানছি আমি কও তো তবে জমলে না মেঘ ওই বুকে,
কিসের আশায় এই ভোলা মন সাজতো আড়ে রোজ চাতক?
(২) বলবো না আর!
শান্তি আমার নেই রে সখী করলে তালাশ সব ফেলে,
দুঃখ উঠে দ্বিগুণ ফুঁসে গড়তে ক্ষত এই দেলে।
আশায় তখন তোরেই খুঁজি দেয় কি দেখা ক্ষণিক তল!
বলবো না আর? চাঁদ যে দ্যাখে গভীর রাতে চোখ মেলে!
(৩) মেনেই বলছি
একই রক্তে দেহ গড়া হোক না সবে একই জাত,
পাশে থেকে জিভ বুঝে না কেমন ব্যথায় নড়ে দাঁত।
কষ্টগুলো হয় না কারো, চায় কে নিতে অশ্রুজল!
মেনেই আমি বলছি দয়াল তুমি দাসের আঁখির পাত।
(৪) দিলাম কথা
হারাক ক্ষয়ে নিশির ক্রোড়ে ঋক্ষ তারা চাঁদ মহল,
দিলাম কথা করবো না আর দৃষ্টি জলে ফের অতল।
বলবো না ক্যান দমটা ভারি, পিঞ্জিরা ক্যান নড়বড়ে!
দান করে সেই ধৈর্য শুধু তোমায় রাখো বুক অটল।