এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীরা পরাধীন,
তবুও সে সমাজকে তোমরা বল স্বাধীন?
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীদের নিরাপত্তা কম,
সে সমাজকে কেন তোমরা স্বাধীন বলে আওয়াজ তোলো হরদম?
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীরা পথে একা হাঁটতে ভয় পায়,
সে সমাজকে স্বাধীন বলা কি তোমাদের মানায়?
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীরা ধর্ষণের শিকার,
সে সমাজকে স্বাধীন বলতে পাও কোন অধিকার?
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীদের প্রতিবাদের ভাষা রোধ করা হয়,
সে সমাজকে স্বাধীন বলা তোমাদের ঠিক নয়।
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজে আজও নারীরা বৈষম্যের কারণ,
তাহলে জেনো সে সমাজকে স্বাধীন বলাও তোমাদের বারণ।
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজ আজও নারীদের ঘৃণার চোখে দেখে,
সে সমাজের বুকে থুতু ছেটাই আমি লাথি মারি কষিয়ে।
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজ আজও ভাবে কন্যা সন্তান জন্মানো পাপের,
একদিন সে সমাজকে ছারখার করে দেবে আগুন নরকের।
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা।
যে সমাজ আজও ভাবে নারীদের বেশি শিক্ষা দিয়ে লাভ নেই,
সে সমাজের জ্যান্ত মানুষেরাও যে পশুর অধম একথা বললেও কোনো ক্ষতি নেই।
এমন স্বাধীনতা আমি চাইনা
যে সমাজের কাছে নারী মানেই কলঙ্ক,
সে সমাজকে স্বাধীন বলা আর জেনেশুনে বিষ খাওয়ারও একই অর্থ।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৭ই মে, ২০২৩, বেলা ১১টা, বারুইপুর