অপেক্ষা
কোন এক গোধূলি বেলায় সূর্যাস্ত উপভোগ,
দিন আর রাত্রির এই সন্ধিক্ষণে আনমনা সময় পার।
আবসাদের অবকাশ দিতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক।
হঠাৎ এক ভাবনা এসে অহেতুক অনুরাগের সূচনা করে,
দৃষ্টি সেই সূর্যাস্তে; আর ভাবনায় সেই চিরপরিচিত রুপকথা
এ যেন দৃষ্টির অন্তরালে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট।
হেমন্তের শিউলি ফুল যেমন ক্ষণস্থায়ী
তেমন করেই ভাবনার অন্দরমহল।
আর যা কিনা বিতৃষ্ণার সূচনা করে ফিরে।
না চাইতেও অনুভবে বর্তমান এক অস্তিত্ব,
যা কিনা জায়গা করে নিল এক পাষণ্ড মনে।
এক ব্যোমযানের সূর্যাস্ত অতিক্রম,
আর তখনি ভাবনার অবকাশ;
দৃষ্টি আর ভাবনা ফিরে পেল একই প্রেক্ষাপট।
হঠাৎ বয়ে যায় উত্তরের হিমেল হাওয়া,
আর সেই হাওয়া জানান দেয় শিতের আগমনী বার্তা।
এত ভাবনার মাঝে চা শেষ না হতেই তার তাপ বিকিরণ।
ইউরোনিয়াম ফিসন এর মত ভাবনার শেষ নেই।
এবারের ভাবনা নিজেকে নিয়ে;
নিজেকে উপস্থাপনের মত সুন্দর অবয়ব নেই।
আর তখনই মনে হল নিজেকে নিয়ে ভাবি না কতদিন,
এলোমেলো, অগোছালো আর ভাবনা-প্রিয়।
কখনো কখনো চেনা ভীরে নিজেকে একা লাগে,
বেরসিক আর বেমানান আর ভাবনা-প্রিয়
তার কারণ অন্তরালে বেমানান শূন্যতা।
প্রকৃতির চিরায়ত নিয়ম; হেমন্ত যায় শীত আসে,
অপেক্ষায় কেটে যায় কত দিন রাত।
অপেক্ষা সেই আগমনী বার্তার,
যেই বার্তায় তৈরি হবে এক পূর্ণতার গল্প।