ছোটোদের কবিতা

আর কতো দিন থাকবো মাগো                 বন্ধ এই ঘরে। দাওনা মোরে মুক্ত করে                 একটি বারের তরে। পারছি নাকো থাকতে যে আর                 বন্দি জীবন মেনে। সঠিক নিয়ম, সঠিক সময়                 কি আর হবে জেনে। খোলা আকাশে, মুক্ত বাতাস                 প্রাণ ভরে শুধু নিতাম ইচ্ছে করে দূর…

ঘুম ভাঙতো মায়ের ডাকে বাহানা দিতাম রোজই তাকে একটা চুমু দিয়ে গালেতে বিছানা ছাড়তো নিয়ে কোলেতে। কিছু না কিছু দিয়ে মুখেতে পরাতো ড্রেসটা কোন মতে ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে পরতো আমাকে নিয়ে। স্কুলের দরজা হবে কি বন্ধ? পথে যেতে…

কলম খাতা কে বললো হেসে,, আমি আগে, তুই শেষে খাতা তখন বেজায় রেগে; তুই তো ব্যাটা একপেশে!   কলম আবারও বেজায় হেসে খাতা তো শুধুই সাদা; কলম যদি নাইবা লিখলো পড়তে পারে এমন কার সাধ্যি।   খাতা তখন আরও রেগে…

বেজায় রাগে বাবা-মা ফোন দেখলে হাতে,, অনলাইনে ক্লাস করি তাই দিনে কিংবা রাতে!   অনলাইনেই পড়ি আমি,দিই না মোটেই ফাঁকি,, সুযোগ পেলেই একটু-আধটু‌,, ইনস্টাতে চোখ রাখি!   হোয়াটসঅ্যাপ বলে স্টাটাস দে তো,, ফেসবুক বলে স্টোরি এত কিছুর মাঝে আমি কেমনে…

সূর্য যখন পুব আকাশে, ভোরের আলো ফোটে। মৃদু-মন্দ স্নিগ্ধ বাতাসে, নীলশির, লালশির,পরিযায়ীরা এসে জোটে।   অপরাজিতা,জবারা মাথা দোলায় গাছের শাখার পরে,, সব যদিও থাকে না শাখায় কিছু ঝড়ে পড়ে।   ধানের ক্ষেতে ঢেউ লাগে জোরালো বাতাসের হাত ধরে,, রাজহাঁসের দল…

ছোটাছুটি পঙ্কজ সূত্র ধর (কোচবিহার) আকাশ বাতাস মিশে আছে একই মায়ের কোলে । মেঘের ডাকে বৃষ্টি ছোটে গাছ গাছালি দোলে।। খোকা ভয়ে মুখটি লুকায় মায়ের আঁচল তলে। গরগরগর আওয়াজ শুনে, হাতির দলকে খোঁজে।।

স্বপ্নেতে দেখি কাল জঙ্গলে গিয়েতে বসেছে বিশাল ভোজ সিংহের বিয়েতে পশু পাখি যারা যারা যা জিনিস রোজ খায় আজ তারা সে না খেয়ে ডিফারেন্ট খেতে চায়   সিংহের ইচ্ছে সে খাবে শুধু ফিশফ্রাই হনুমান বলে তার বিরিয়ানি চাই ই চাই…

বৈদ্য পাড়ার বৈদ্য মশাই কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বৈদ্যপাড়ার বৈদ্যিমশাই, থাকে মোদের গাঁয়ে, পাড়ার কারো ব্যামো হলে, তাকে দেয় সারিয়ে। বৈদ্যপাড়ার বৈদ্যিমশাই, লোকটি খারাপ নয়, পাঁচ পুরিয়ার পাঁচ সিকে দাম, স্পষ্ট ভাষায় কয়। ডাক্তার কবিরাজ এ গাঁয়েতে, আর তো কেহ নাই, ব্যামো…