এক বছর আগের একদিন
মনে হয় ঢের বেশি প্রিয় অন্ধকার!
এখানে ওখানে শোনা যায়
রক্তমাখা ভূতের কাহিনী!
চমৎকার!
এক-দুই ফোঁটা শিশিরের মতো
যদি কাল রাতে নিভে যেতো আলো
তবে আর কোনোদিন খুঁজিব না
আলোর মতন প্রহর, আমি
খুঁজিব দুরন্ত প্রজাপতির জীবন
যেখানে ঘুম চলে যায়
অবিরাম বির্কীর্ণ মরিবার মতো।
আয়ুহীন জীবন সহিবে ঠিকানা – অসহ্য স্বাদ
যেন্ তারার ভিতর থেকে জ্বলে ওঠে
মৃত নক্ষত্রের আলো-
জানিব আমি মানুষের ভিড়
যুগে যুগে মৃত্যুর মুখে:-
তবুও মুহূর্তে পৃথিবীর পথ
আঁধারে হারিয়ে যায়
নগ্ন চাঁদ ডুবে যায়
এক বছর আগের মতো করে।
শেষ রাত্রি মুছে যায়
ইতিহাস কিছু বলে যায়
যেন্ মহাসমুদ্রের ঢেউ আসে জীবনে
হৃদয়কে কেড়ে নিতে।
আমার নেই কোনো ক্লান্তি
তবুও রোজ রাতে আমি জেগে থাকি
নিশাচর প্রাণীর মতো-
শেষ ট্রেন, শেষ শব্দ
থেমে যায় শান্ত মুখে।
সর্বদা আমি ভেবে চলি
তবু জানি না কেন্ !
দেয়ালে ‘শূন্যতা’ এঁকে দেয়
আমার জীবনের অনুভূতির জগৎ,
চোখে চোখে মরীচিকার জল।
এক বছর আগের একদিন
এক তরুণী আমার হৃদয়ে পরাস্ত লেখিকা;
তারপর জীবনের সংকেতে
বৃষ বৃক্ষের ছুঁটে যাওয়া
শেষ অস্তগামী সূর্যতলে;-
সমস্ত দিন শতাব্দী শেষ হয়ে
চেয়ে দেখি বার বার
যুগের আঁধারে
বাংলার প্রান্তরে হেমন্তের সন্ধ্যায়
প্রথম এবং অন্তিম রমণীর কথা
ভেসে আসে অন্তহীন
নিতান্ত প্রেমের অবকাশে।
জীবনকে আরো চঞ্চল ভাবিলে
কোনো কিছু হয় না তো পাওয়া!
অত্যন্ত প্রিয় রাতের শান্ত নীরবতা
জীবনকে এনে দেয় স্থিরতা।
যেই মেয়েটিকে আমি ভালোবেসেছি
সেই মেয়েটি মহৎ রাত্রিতে মিলিয়ে গেছে-
আমার জীবনে স্থিরতা এনে দিয়ে।
দিন যায় রাত যায় সাদা মেঘের মতো
তার কোনো খোঁজ রাখিনা আমি:
তবুও জীবনকে কেড়ে নিতে আসে
জানি না আমি কোন ভয়ঙ্কর আত্মা! ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
একবার চোখ মেলে যখন মেয়েটি কে ভাবি
তখন মনে হয় জীবন আরো স্থির,
কারা যেন্ আমাকে ব্যবহার করে!
জলরঙ ছায়াপাত জাহাজের নকশা
জাদুবলে হারিয়ে যায় অন্ধকারে।
দিগন্ত জুড়ে একদিন সোনার মতো রোদ্দুর
আমি নেই, মৃত্যু আমাকে নিয়ে গেছে বহুদূরে-
পৃথিবীতে চিরবসন্তের জোনাকির আলো জ্বলে
নিঃসহায় একাকী মানবের মতো
আজ থেকে এক বছর আগের একদিনে।।