বেশ ত আছি
অবন্তিকা,
তোমায় দেখা শেষ ঝলকটুকুই আজ শেষ অবলম্বন তোমায় ঘিরে,
স্মৃতির বারান্দায় তোমার পদধ্বনি স্পষ্ট শুনতে পাই,
কেবল দেখতে গেলেই একটা অসহ্য অস্পষ্টতায় ঘিরে ফেলো নিজেকে,
আমি দিনের পর দিন ছুটে চলি কেবল এক ঝলক দেখবো বলে,
তোমার সেই এক জেদ লুকিয়ে রাখা নিজেকে।
তোমায় নিয়ে লেখা প্রতিটি কবিতায় আমার ক্লান্তি কেটে যায়,
তোমার ভাবনায় কেটে যায় অবসরগুলো।
দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছো ভেতরে ভেতরে,
ভাবছো আমি বিন্দুমাত্র টের পাব না,
সে তুমি ভাবতেই পারো, আমার জগতে তোমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা,
তোমাকে যদি একটিবার দেখাতে পারতাম,
আমার মনের রঙ তুলিতে আঁকা তোমার ছবি খানা ঠিক কেমন,
কতখানি সরল, পবিত্র সে।
কিন্তু তুমি হয়ত জান না তা আমি পারব না, সঙ্গত কারণেই হয়ত আমি এমনই,
কিন্তু তাই বলে তোমায় মন উজার করে ভালোবাসতে কার্পণ্য করিনি,
প্রতিটি মুহূর্তে তোমাতেই বিভোর থাকতে এতটুকু কার্পণ্য করিনি।
আবেদন জানাতে কার্পণ্য করেছি তা আমি মানছি,
তাই বলে আমার অনুভূতির জগতে তোমার বিচরণ তুমি অনুভব করতে পারবে না তা নয় মোটেই,
জাগতিক তাচ্ছিল্য ছাপিয়ে যদি এতটুকু অবসর নিয়ে আগ বাড়িয়ে দেখো,
স্পষ্ট দেখা মিলবে শত শত রংধনুর ভিরে তোমায় ঘেরা মিষ্টি ছন্দ গুলো।
আজকাল জানো ভীষণ গুলিয়ে যায় সবকিছু,
সময় করে সন্ধ্যেতারার সাথে গল্প করা হয়ে ওঠে না,
পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় তোমায় নিয়ে কবিতা লেখাও হয় না আর।
সেই কবে গোধূলী বেলায় কোন এক নদের তীরে বসে আছি,
জলতরঙ্গে আশ্চর্য সে আবিরখেলা, সে যদি তুমি দেখতে,
পাশাপাশি বসে আমার আঙুল তোমার এলো কেশে,
আলতো করে তুমি মাথা হেলিয়ে আমার স্কন্ধে সমর্পণ করতে নিজেকে।
ওসবকে আজকাল কেবল কালক্ষেপণের ভাঁড়ামি বলেই বেশ চালিয়ে নিচ্ছি,
আজকাল খানিকটা অসামাজিকও বনে গেছি, অন্তত লোকে তেমনটাই বলে থাকে।
সেই কিশোরী আজ যে যুবতী তা ত নিতান্তই বাস্তবতা,
তবুও কিশোরী সত্ত্বাটিকেই ভালোবেসে গেছি এতকাল ধরে,
বাস্তবতার ভিরে কখনও যদি দেখা মেলে আবার,
চিনবে নিশ্চয়ই, আমি ঠিকই চিনে নিবো তোমায়,
কিন্তু তুমি না চিনলে অজ্ঞাতই থেকে যাবো,
এতদিনের প্রতিক্ষার বিন্দুমাত্র তাড়া তুমি দেখবেনা,
বড় জোড় শান্ত কণ্ঠে বলব – বেশ ত আছি!