আমি তো সেই একই রকম আছি !
আমি তো সেই একই রকম আছি
আলের ওপর খাড়া চৌপর
সাড়ে তিন হাত জমি !
চলছি ফিরছি উঠছি বসছি
ঢ্যাঁটানন্দ স্বামী !
অল্পে কিছুই হয়না আবার
বেশি হলেই বমি !
খেয়াল খ্যাপা, যায়নি মাপা
– লাই দিলে নষ্টামী !
আমি তো সেই একই রকম ,
যেমন ছিলাম আমি !
সেই রকমই বাউন্ডুলে বাঁচি –
সেই রকমই দুই আর দুইয়ে পাঁচ
দো দিন কে জিন্দেগী বাপ –
পরান খুলে বাঁচ !
সেই রকমই খেয়ালী মনখোনা,
দু তিনটে দিন নাই বা খেলাম
কোনোই ব্যাপার না –
রাগলে দুয়ার বন্ধ, অনশন
তখন যেমন ছেড়ে গেছিস
ঠিক তেমনি বদ্ধ পাগল,
ধনুক ভাঙা পণ !
অফিস টফিস যেমন খুশি যাই
মামারবাড়ি, বাঁধন তেমন নাই,
মাইনেটা তো দিচ্ছে আপাতত
আধা হলেও মাস তো চলে যায় !
দিনের বেলা দিন কেটে যায়,
রাতের বেলা একাই পাগলা দাশু !
আকাশ ছুঁয়ে ধুমকী তখন,
সবজান্তা আমিই অষ্টবসু !
রাত তো গভীর, হুঁশ থাকেনা-
আকাশ ভরা তারার সাথে কাব্য আলোচনা —
আকাশ কিন্তু একই রকম আছে –
ছেড়ে গেছিস অনেক দিন তো হলো,
এতো দিনেও আকাশ পাল্টালো না !
একলা নয়তো, তুই তো থাকিস সাথে
তুই সোফাতে, আমি আমার ছাতে !
জড়িয়ে থাকিস — শরীরটাই কি সব ?
পাগলদের তো মন নিয়ে উৎসব !
খাওয়া দাওয়া ? খিদে পেলে খাই তো –
মনে আছে ভুলো কুকুর ?-
ভক্ত হয়ে বোস থাকে তো
ওর খাওয়াটাও চাই তো !
তাই তো আনাই, ডিম তড়কা রুটি –
ভুলোর জন্যে সামান্য ভাত দুটি !
তবে ভালোই রাগটা তেমন নেই
দুই জনেই বেশ ল্যাং খাওয়া তো,
মার খেলে দেখ, পোষ মানে অল্পেই !
আমার কথা ছাড় তো, কেমন তুই
আলসেতে তোর গোলাপ চাঁপা জুঁই –
এখনও কি ফোটে আগের মতো-
কে দেয় রে জল, আদর টাদর যত-
কে ক’রে দেয়, হাত বুলিয়ে গায়,
ভোলায় কে রে, কান্না যখন পায় ?
কে নেয় বুকে, কে দেয় ওদের হামি
কে দেয় ওদের সুখের ঘরের চাবি, চূড়ান্ত পাগলামি !
ভীষণ রাগে, লাল হলে তোর মুখ,
ভোলায় কে রে, সারায় কে অসুখ ?
হঠাৎ হঠাৎ ডাকলে নদে বান,
সামাল কে দেয়, ভাঙ্গায় কে রে মান !
কিছুই না তাই জানতে ইচ্ছে করে
বৃষ্টি হলে, আজ কে ছাতা ধরে
কথা সরিৎসাগর তোর যা যত
কে শোনে আজ বাধ্য ছেলের মতো
বলতি যেমন আমায় পাগলা রাজা –
এখন কে সেই কোন সে মহারাজা !
হঠাৎ দেখা অনেক দিনের পরে
কিছুই না, তাই জানতে ইচ্ছে করে
আমি ? আমি তো সেই একই রকম আছি
বিশ্বাস কর সত্যি বলছি
পাগলের সেই সাড়ে তিন হাত জমি !