আর নয় তোমার ইচ্ছের ইছামতি তীরে
তোমার ইচ্ছের ইছামতি নদীতে
স্নান করে করে- না, মনে হয় এমন বললে ভালো হয়-
নাকানি-চুবানি খেয়ে খেয়ে এখন আমার
জ্বর হয়েছে,
জ্বরের ঘোরে ভুল বকছি মাঝেমধ্যে-
নাকি সেটাই সত্যি- কে জানে!
আর নয় নাকানি-চুবানি
আর নয় স্নান
আর নয় ওই নদীর তীরে যাওয়া-
আজ থেকে আমি হাওয়ায় ঘুরে বেড়াবো আনন্দে-
মুক্ত স্বাধীন,
মধু-বন্ধনের স্বাদ যখন পেলামই না
অবাঞ্ছিত অবন্ধনের অমৃতই এখন আমার
জিহ্বায় লেগে থাকুক।
একটি অতি আকাঙ্ক্ষিত ইচ্ছের কথাকে তোমার
আমার শ্রবণে সত্তায় সর্বৈব শিহরণে
সমারূঢ় করার চেষ্টা করতে গিয়ে
কতো যে তোমার অজস্র এলোপাথাড়ি ইচ্ছের চাপে
নিজেকে আপন সত্তা-সিংহাসন থেকে
চ্যুত করেছি- অসুস্থ করেছি।
অসুস্থতার মধ্যেই সুস্থতার বীজ- চারার স্ফুরণ,
আপন ভস্ম থেকেই ফিনিক্স পাখির জাগরণ-
জীবনকে নতুন করে পাওয়া- চেনা।
কোন সে তোমার ইচ্ছের কথা, যা অব্যক্ত
থাকার কারণে আজ এ জীবনকে নতুন করে পাওয়া
আর চেনা? সে হলো-
“আমি তোমাকে প্রকৃত ভালোবাসতে চাই!”
© শুকদেব চন্দ্র মজুমদার
৩০-১১-২০২৩