ঈদের নামাজের পরে মুসলমানরা সমবেতভাবে মুনাজাত করে থাকে এবং একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের সম্ভাষণ বিনিময় করে থাকে। ঈদের বিশেষ শুভেচ্ছাসূচক সম্ভাষণটি হলো, “ঈদ মোবারক”।

আসুন, আমরা সম্প্রদায়গত বিরোধ ভুলে আজকের পবিত্রতম ঈদের খুশির জোয়ারে সকলেই আনন্দ উত্সবে মেতে উঠি। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঈদ মোবারক বলে প্রাণিত করে তুলি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

পবিত্রতম ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বময়
ঈদ-উল-ফিতর পবিত্র দিবসে আমার কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আজি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর
খুশিতে মাতি সবাই,
এসো সবাই একসাথে আজি
ঈদগাহে চলো যাই।

আজিকে যখন প্রভাত রবি
ছড়িয়ে দিলো আলো,
নবীন প্রভাত ডাক দিয়েছে
লাগছে সবই ভালো।

প্রভাত রবি অরুণ রাগে
ছড়ায় নব কিরণ,
খুশির আনন্দে সবাই মাতে
হেরি মধুর মিলন।

ঈদের চাঁদ সবাই যখন
দেখেছিলো কাল রাতে,
তাইতো আজি নমাজ পড়ে
সকলেই একসাথে।

ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক
আজি সারা বিশ্বময়,
হিংসা বিদ্বেষ সকল ভুলে
মোরা করি বিশ্বজয়।

মানি না হিন্দু মানি না মুসলিম
জাতি ধর্ম বড় নয়,
মন্দির মসজিদ বন্ধ আজিকে
করোনারে করো জয়।

প্রার্থনা আর নমাজ আজি
বন্ধ করো সব আজি,
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপে
যেতে কেউ নয় রাজি।

গৃহবন্দী হয়ে নমাজ পড়ো
আর আল্লাহকে ডাকো,
করোনার বিষে ভুবন ছেয়েছে
মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকো।

পবিত্র দিবসে বন্ধুরা আজিকে
পরস্পরে ভালবাসো,
করোনার বিষ হয়নি নিঃশেষ
করোনারে আজি নাশো।