ছি এর পাঁচালী
পৃথিবীতে কত যে অপ্রাপ্তি আর দুঃখবোধ আছে!
আমি যখন আসিনি, শুনেছি মায়ের কাছে
ঐ লোকটা বলেছিল-আসবে আর কী
এই বয়সে? ছি!
অতঃপর এক স্বপ্নহীন চাতালে
অন্ধকার অচেনা এক বাদলে
উল্কাপিন্ডের মতো হয়তবা আছড়ে পড়লাম
কার হাতে কী মধু খেলাম!
হয়ত মিছামিছি আঙুলের ডগা
মায়ে বুঝি বলেছিল-হয়েছে তো বড্ড রোগা
তাতে আবার মধু-ঘি?
আমার কপাল পুড়েছে, ছি!
ইতিহাস থেকে জেনেছি-ছিলেম অতি ছিচ-কাঁদুনে
টাস্কিলাগা কান্নাকাটি কারণে অকারণে
কাজ ফেলে মায়ে ব্যস্ত, ওপাশ থেকে ভ্রূকুটি হানে-
ছন্নছাড়া! কিসের এত কান্নাকাটি!
গেল গেল সব গেল! ছি!
প্রকৃতির পাঠ নিয়ে কেটে গেল সাত বছর
পরে জেনেছি-প্রকৃতিও খেলে, অতঃপর
আমি নাকি বায়না ধরি-মানুষের পাঠ নিতে চাই
ইতিহাস থেকে জেনেছি-আমার জন্য তাই
করা হয়। আজব সমাজ! করে কানাকানি!
কেউ কেউ বলে-তুই নাকি বিদ্বান হবি!
এটাও কি সম্ভব? ছি!
জানি না নাদান হয়েছে কিনা বিদ্বান, তবে রেকর্ড কয়-
বড়সড় সনদ আছে গোটা সাত/ছয়
লোকে বলে-উঁচ্চ মেধা, চোখা বুদ্ধি অতি তীক্ষ্ণ
আট/দশ গ্রামে জুড়ি নেই কোন
দুর্জনে তবু বলে- তুই নাকি হবি জজ/ ডিসি!
এটা কী করে হতে পারে! ছি!
অতঃপর কত জল বয়ে গেল এই গঙ্গা-যমুনায়
এখনো প্রতিদিন চিনতে হয় আমাকে আমায়!
যুগের সনদ তো বলে- আছে দেখি স্ট্রং সিভি
হয়েছে তো ডিসি/ ফিসি, আরো কত কি!
তবুও দন্ত খিঁচিয়ে বস বলে-কী চাও আর?
আরো বড় পদ চাও! আরো বড় চেয়ার!
ভাবছটা কী!
এ কি মামাবাড়ির আবদার? ছি!
এমনি করে কেটে গেল কত দিন, মাস, বছর
দশকের পর দশক!
এখনো ছি এর পাঁচালী গেয়ে যায় দুকানে
এই সমাজের মশক!
(০৫১১২৪, ঢাকা)