টুনি ও ফেরিওয়ালা
টুনি ও ফেরিওয়ালা
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
“পুতুল চাই পুতুল..” ফেরিওয়ালা রোজ হাঁকে,
বাড়ি থেকে বেরিয়ে টুনি ফেরিওয়ালাকে ডাকে।
টুনির ডাকে ফেরিওয়ালা পিছনেতে ফিরে দেখে,
আস্তে করে মাথার বোঝাটা নামায় মাথা থেকে।
টুনি বলে, “ফেরিওয়ালা! যাচ্ছো কোথায় তুমি?
দাওনা আমায় একটা পুতুল, বাঁশি ও ঝুমঝুমি”।
মা ডেকে কয়- “এদিকে আয়, আয় বলছি এক্ষুনি”
মায়ের ডাকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ঢোকে টুনি।
বিধবা মায়ের আর কিছুই নেই মেয়েটিই সম্বল,
টুনির চোখে জল দেখে আজ মায়ের চোখে জল।
অনাহার যাদের নিত্যসাথী, বাড়িতে বাড়ন্ত চাল,
সুখের ছোঁয়া পায়না যারা, দুঃখ থাকে চিরকাল।
দেনার দায়ে বাড়িটা সেদিন টুনির মা রাখে বন্ধক,
এরপরে আর মিটবে কি তার পুতুল কেনার শখ ?
কিছুদিন পরে পুতুল নিয়ে ফেরিওয়ালা আসে গাঁয়ে,
না পায় দেখতে কচি শিশুমুখ দেখে না বিধবা মায়ে।
মাটির বাড়িটি নাই সেথা আর হয়েছে সে অট্টালিকা,
সারা ছাদ জুড়ে ফুলের টবে গোলাপ ফুল যায় দেখা।
যে ফুল না ফুটিতে ঝরে ধরণীতে বোঝে কি সুখ-দুখ,
গোলাপের ফুল ছাদে পড়ে ঝরে তবুও তো তার সুখ।