প্রথম বসন্তের দিন
আমার দরজায় অগোছালো ভাবে জড়ো হয়েছে অবহেলা।
তাদের কোনদিন ডাকতে হয়নি,তারা একাই এসেছে!
হয়তো আমাকে জড়িয়ে নিতে ভালোবাসে..
দিনের শেষে ভুতুড়ে বাতি গুলো যখন জ্বলে উঠলো, ওরা তাদের মতই নিশ্চল।
কিংবা, দিনের শুরুতে ভোরের পাখিদের আর্তনাদের মত অর্থহীন।
তবুও ওদের জৌলুস আছে, ওরা যে আমাকে ভালোবাসে..
এই জীবনে যেদিন প্রথম বসন্ত এল!
আমি কী তার কথা মনে রাখতে পেরেছি..?
সেও বোধহয় পারিনি ধরে রাখতে ..
শতশত ব্যার্থতা আমাকে কেড়ে নিয়েছে, ছিনিয়ে নিয়েছে ওর কাছ থেকে।
সেদিন অবহেলা আর অবজ্ঞা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে নিজের মধ্যে..
বসন্ত আর আমাকে ছুঁতে পারেনি!
ভোরের শিশির ভেজা ফুলগুলোর গন্ধ আর পাইনি..
জ্যোৎস্নার স্রোতে গা ভাসাতে সাহস হয়নি কখনো।
আদর, সোহাগে আড়ি পেতেছে বহুদিন..!
আর সমাজে চলেছে বয়কট।
ভীড়ের মাঝে একা একা দাঁড়িয়ে লোক গোনা যায়!
পাশ দিয়ে নদীর স্রোতের মানব পতাকা উড়ে যায়,
তাতেও হাত বুলিয়ে দেবার ইচ্ছে হয়নি কখনো।
আমাকে অবহেলা আজও বেঁধে রেখেছে ভালোবেসে।
এখন শতশত ফুলের গন্ধে হাহাকার গুলো শুনতে পাই।
ভোরের শিশিরের অদৃশ্য থাবা দেখতে পাই।
পাখিদের কন্ঠনালী ছিঁড়ে আসা চিৎকার গুনতে পারি।
খরস্রোতা নদীর নিচের শান্ত জগতকে ছুঁতে পারি।
আর..?
আমি নিজেই নিজেকে চিনতে শিখেছি..
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকালে ব্যার্থতা, অবহেলা গুলো!
পথের উপর পরে থাকা ফুলের মত পবিত্র মনে হয়।
অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো, জীবনের এক একটি অধ্যায় মনে হয়।
তাই এখন নিজের জন্য কোন উত্তর খোঁজার চেষ্টা করিনা।
আসলে আমি কোন প্রশ্নই করিনা..
ঠিক যেমন করেছিলাম..”প্রথম বসন্তের দিনে”।।