বর্ষা শীতের মাঝামাঝি
![]()
বর্ষা-শীতের মাঝামাঝি
কলমে- সুব্রত পণ্ডিত
সংকলন- এলোকেশী
(ISBN: 978-93-48640-64-2)
——————————————————++
বর্ষা-শীতের মাঝামাঝি দুটি ঋতুকে পৃথক করতে- পড়েছি ঝামেলায়, উপায় কূলকিনারা হারায়।
হাঁটু জলে শাপলা ফুল সারা বছর ফোটে, তবে শরৎ এলে বেশি বেশি ফোটে।
কাশফুল চুপিসারে বালুচরে উঁকি মারে বাতাসে দে-দোল দেয় মাঠে ঘাটে।
শিউলি সকাল বেলায় মাটির উপর কমলা মেশা হলুদ দিয়ে সাদা রঙে বিরহের আলপনা আঁকায়।
গগনশিরীষ উঁচু ডালে মন মাতায়, হিমঝুরি খসে পড়ে কোনো অজানা মমতায়।
পাখিফুল আর পারিজাত ফুল দুজনে আলাদা, তবুও আমরা এক ভেবে ভুল করে মরি।
ছাতিম ফুলের তীব্র মাদকতাময় গন্ধেই শরৎ এসেছে ভেবে আগমনীর গান ধরি।
পান্থপাদপ অপূর্ব সাজে সেজেগুজে সুন্দর ফুল নিয়ে সারি সারি হয়ে দাঁড়ায় হেথায়।
ফুল মিনজিরি হলুদ আভা ছড়ায়, সুগন্ধি বকুল ফুল মাটিতে পড়ে অবলীলায়।
গুনগুনিয়ে রংবাহারি দোপাটি শুধু তাকায়, চা-ফুল শোভা বাড়ায় উঁচু উঁচু টিলায়।
স্থলপদ্ম ফুটে রয় কারো প্রতীক্ষায়, আপেল চেরি নাশপাতি ফল দিয়ে বাগান সাজায়।
সুন্দরী শরৎ আবারও সুন্দর বটে, রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশে ধুসর-নীল-সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়।
এই সময় শাকসবজি চাষ করতে হবে ভাবনাটি বেশি ঢুকে চাষি নয় চাষার অস্থিমজ্জায়।
সাদা-সবুজ সুগন্ধের ছয়লাপে জয়লাভ শরতের, শিশির পড়লেই দূর্বা ধরে রাখে তার ডগায়।
শরতের ফুল-ফল গুলি হেমন্তেও শোভা ঢালে, পৃথক করা দায়! তবু শরৎ প্রাধান্য পায় কবিতায়।
হেমন্ত করেনা হায় হায়, সেও নিজের মতো নবান্ন সাজায়, শীত শীত লাগে গায়ে- শরৎ এখানে নিরুপায়।
দেব কাঞ্চন ফোটা শুরু করে হেমন্তে, চালতা শরৎ না হেমন্তে পাকে- আমাকে ভাবায়! হাসায়-কাঁদায় আর খেলায়।।
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)