রোজনামচা।
কুয়াশা ঢাকা আকাশে ভোরের সূর্যের উদয়
ক্লান্ত আমি নিলর্জ্জ তেজষ্ক্রিয়তা আর ইটভাঙা প্রখরতায়।
দিন পেরোলেইতো রাত-বেরাতের খেলা
ক্লান্ত হাতে সুই ফুঁড়ে যাই
বলি মনের কথা মনের নির্জনে ।
আমার শ্রান্ত চোখে দেখা শেষ রোদ্দুর
হাতপাখার এই নড়াচড়া আমার চোখের জলের
সাথে মেশে। স্বপ্নরা আসে ভেসে ভেসে
অচেনা দেশে।সুর তুলে যায় তীব্র সোনার
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি …
লগ্ন শেষ , থেমে যায় সোনালী রোদ্দুর দীর্ঘশ্বাস।
সময়গুলো সব এগিয়ে চলে ধীরে
সাজতে হবে সন্ধ্যের রঙিন সাজ
কাজলমাখা চোখে আমার
প্রেম যত বন্দী-সব কাপড়ে ঢাকা।
লনের ওপর সবুজ ঘাস, তাতে কারও পায়ের আওয়াজ
দুমড়ে ফেলে আমাদের অগভীর শেকড়।
আমাদের রক্তরন্ধ্রের ভেতর বেজে ওঠে সাইরেন, শব্দের প্রতিধ্বনি
-থামো, আমরাও মানুষ …
রাত্রি শেষ , সোডিয়াম লাইটে নিস্তব্ধ অন্ধকার
ক্লান্ত মন, ক্লান্ত দেহ
চুড়ি ভাঙে, লেপ্টে থাকে কাজল
উদাস মনে তাকিয়ে থাকি আমাকেই, আয়নার ভেতর
আমি মরে চলি, মরে চলি, মরে চলি এভাবে রোজ।