ষোলো বছর থেকে
তোমার রূপের আলোয় আমি অমাবস্যার রাতে হেমন্তের ফসল কাটা মাঠের সবুজ ঘাসে শিশির বিন্দু দ্যাখতে পাই।
যখন আমি তোমার মুখোমুখি দাঁড়াই নিজের প্রতিচ্ছবি তোমার সফেদ চেহারায় দ্যাখতে পাই।
আমি পাগল হই, ঘর ছাড়া উন্মাদ হই —
তোমাকে একটু ছুঁয়ে দ্যাখতে আমার মন নেশাখোরের মতো মাতাল হয়
তোমাকে কাছে পেতে হয় বড্ড উতলা।
তোমার বিভৎস অতীত যখন তোমার ভিতর চিবিয়ে খায় তখন তোমার ধুসর চেহারায় পূর্ণিমা রাতকেও অমাবস্যার মতো মনে হয়।
মাঝেমধ্যে নিজেকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিজেই নিজের বিচারক হই
তোমার স্বপ্ন খুনের কারনে নিজেই নিজেকে দিনে কয়েকবার ফাঁসির রায় দেই
মৃত্যুর পরও লাশকে কয়েকদিন ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেই।
আমি খুনি —
দক্ষ হাতে খুন করেছিলাম তোমার স্বপ্নের কানন
এই স্বপ্ন খুনের যন্ত্রণা তোমার ভিতর চিবিয়ে খাচ্ছে
এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে হাড় কঙ্কাল গুলো।
আমি দক্ষ জুয়ারি —
তোমার নির্মল আর পবিত্র ভালোবাসাকে আমি বায়ান্ন তাসের তিপ্পান্ন খেলা খেলেছি, তাসের ঘর বানিয়েছি।
এক অদৃশ্যমান কষ্ট তোমাকে রক্তাক্ত করছে —
আহত করছে তোমার হৃদয় —
তোমার ভিতরের চাপা কষ্টগুলো তুমি না পারছো কাউকে বলতে
আবার না পারছো আমার মতো লিখে প্রকাশ করতে —
বয়ে বেড়াচ্ছো সেই ষোলো বছর থেকে।
০৬/১১/২০২২ইং, সৌদি আরব