সংকোচ
নির্জলা দুপুরে প্রাণ ভরে করেছি আঘাত তাঁরে
আমার সংকোচ ছিল না বলতে তাঁরে
যে কথাটি বলা হয়নি আজও তাঁরে
সে কথাটি দূর-দূরান্তের লক্ষ মাইল দূরে।
যে পুরুষটি তোমারে একা রেখে চলে গেছে দূরে
কিন্তু তুমি তাঁরে রেখেছো হৃদয়ের পিঞ্জরে
যদি বলি সেই পুরুষটি আমি
তবে কি তুমি আমারে ক্ষমা করিবে ?
ক্ষমা করিয়ো তুমি হৃদয় ভরিয়া আমাকে
পাহাড়ী নদীর ঝর্ণার মুগ্ধতায়।
আমি কোনো দিনও পুরুষ ছিলাম না
যেমন করে নদী তাঁর গতিপথ পরিবর্তন করে ;
কয়েকটি মৃত প্রেমিকে কঙ্কালের হাড়ে
ফুটিয়া উঠিবে আমার সর্বনাশ
মৃত আত্মার প্রেমের মন্দিরে।
আদি নক্ষত্রের তারার মালা জ্বেলে
কার জন্য করেছি অনুভব
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের নীচে ;-
ঘোরতর বিপদ আমার শিরার মানচিত্রে
জীবন্ত রক্ত কণা বিষন্নতার রোদ্দুরে
কার ছবি আঁকতে গিয়েছি রঙতুলি তে
সে ছবি হয়েছে শেষ অন্য প্রেমিকের হাতে।
সংকোচে জানাই বো তাঁরে
হেমন্তের শিশির ভেজা রাতের প্রহরে
আমার মৃত্যুর ফুল বুঝি ফুটতে চলেছে
অতীত শহীদ মিনারের উপরে।
যে কথাটি আজো বলা হয়নি তাঁরে
কিন্তু হলুদ খামে লিখেছি সেই কথাটি – তাঁর ঠিকানায় । কিন্তু যখন জানতে পারলাম
শহরে শহরে দাঙ্গা খুনখারাপি শুরু হয়েছে
ডাক বাক্সের চিঠি পোঁছানোর গাড়িটি
বিদ্রোহীর হাতে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
এই বুঝি আমার মৃত্যু দেখা দিল রাতজাগা পাখির
ভবঘুরের জানা-অজানা চির বেদনাতে।
জানি না আমি হেমন্তের শিশির
আজো কি তাঁরে লক্ষ্য করে……!!