স্বপ্ন ভাঙা মানবী
![]()
শুভ্র কাপড় জড়িয়ে সে দাঁড়িয়ে ছিল
ভোরের রোদে, কুয়াশার মতো নিঃশব্দ,
চোখে তার এক অনন্ত সমুদ্র,
যেখানে ঢেউ নয়, কেবল নীরবতা।
সে বুনেছিল স্বপ্ন—
ধানক্ষেতের আল ধরে হেঁটে যাওয়া,
মেঘের ছায়ায় খেলা করা,
ভালোবেসে হারিয়ে যাওয়া কারো বুকের ভেতর।
কিন্তু একদিন ঝড় এলো নিঃশব্দে,
আলো নিভে গেল এক নিমিষে।
স্বপ্ন ভাঙল কাঁচের মতো—
ধূসর দুপুরে, কারো অসাড় উত্তর।
সে এখন শুধু চেয়ে থাকে,
শূন্য জানালার ফাঁক দিয়ে—
যেখানে বসন্ত আর ফিরে আসে না,
যেখানে প্রতীক্ষাও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
তার নাম কেউ ডাকে না আর,
তার গল্প কেউ বলে না চুপিচুপি।
সে নিজেই নিজের ভাঙা আয়না,
নিজেই এক ইতিহাস—
এক স্বপ্ন ভাঙা মানবী।
তবুও একেকদিন সূর্য ওঠে,
তার ম্লান চোখে পড়ে এক ফালি আলো,
যেমন শুকনো পাতার নিচে
আদর করে জন্ম নেয় নতুন চারা।
সে হাঁটে—ধীরে, নিঃশব্দে,
নতুন স্বপ্নের শোকায় ভেজা পথে।
ভাঙা প্রতিচ্ছবির ভেতরেও খোঁজে
একটা টুকরো নিজেকে, যে হারায়নি সবটুকু।
কারণ, মানবী ভাঙে ঠিকই—
কিন্তু তার ভেতরে রয়ে যায় আগুন,
যা একদিন জ্বলবে আশার প্রদীপ হয়ে,
একজন বলে উঠবে—
“আমি শুধু হারাইনি, আমি ছিলাম। আমি আছি।”
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)