আকাঙ্ক্ষা
আকাঙ্ক্ষা
স্নেহা
২৬মে ২০২১
ঘোলাটে জীবন টাই আজ-
ভালো লাগতে শুরু করেছে!
হয়তো আবার দেখা হবে,
কোনো রোদেলা হতবাক করা –
জনমানবের ভীড়ে।
আবার কখনো –
খোলা আকাশের নীচে দেখা হবে,
দুজন প্রাণ ভরে হাসবো, হাঁটবো হাত ধরে!
অপেক্ষায় রইলাম –
সুস্থ পৃথিবীর স্নিগ্ধ বাতাসের।
ঘোলাটে চোখ ঘষে- চশমা পরে,
সেই জনমানবের ভীড় ঠেলে-
আমরা কিন্তু অরণ্য দেখতে যাব,
রাজি তো?
সেদিন কোনো বাহানা চলবে না কিন্তু!
জানো তো-
আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করে,
দক্ষিণা হাওয়া কেমন করে ছুটে আসে।
সবুজ গাছ গুলো আনন্দে দোল খায় বুঝি?
পাখি গুলো কি আমারই মতো অভিমানী?
চার দেয়ালের মাঝে –
হঠাৎ দম ফুরিয়ে আসে।
বড্ড ইচ্ছে করে দেখতে-
সমুদ্রের তান্ডবের পর যখন,
নীরব নিস্তব্ধ হয়ে পরে-
তখন সূর্য কেমন সমুদ্রস্নান করে,
আমায় দেখাবে তো?
আমার বড্ড শুনতে ইচ্ছে করে-
শুকনো পাতা গুলোর ঝরে পরার শব্দ।
তোমার হাত ধরে হাটবো-
আর মর মর শব্দে সুর বাধবে,
দমকা হাওয়ায় আমার চুলগুলো –
যখন এলোমেলো হবে,
তুমি আলতো করে –
আমার চুলগুলো কানের পিঠে,
সরিয়ে দেবে তো?
আমি কিন্তু- ঝাল ফুচকা খাবো!
মুখের ভেতর যখন-
লঙ্কার বিষ্ফোরণ ঘটবে,
আমার চোখ মুখ লাল হয়ে যাবে।
তখন আমায় সামলে নিতে রাজি তো?
মেঘের গর্জন শুরু হলে-
কালো মেঘের ভেলা দেখবো।
আমরা কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজবো।
কি? রাজি তো?
ভেজা গাঙচিল হবো দু’জন।
ঘোলাটে চোখ ঘষে চশমা পরে,
জনমানবের ভীড় ঠেলে –
আমরা কিন্তু অরণ্য দেখতে যাব!