আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
কবি আর কবিতার কল্পলতায় লিখা কিছু গল্প
যা ফিরে ফিরে আসে আমাদের মাঝে।
বিচিত্র পৃথিবীর বেদনার রংতুলিতে আঁকা কিছু চিত্র
যা প্রতিটি মুহুর্তে ভাসমান -দৃশ্যমান।
জীবনের একটা প্রান্তে দাঁড়িয়ে যখন বলি তোমাকে ভালোবাসি
অন্য সব মানুষের মতো তোমার কাছেও মনে হয় এটা পাগলামি।
একাকী গভীর রাতে যখন পথ চলি, পুলকিত হই
টের পাই ভুতুড়ে ছায়ার মতো, পায়ের শব্দের মতো।
তুমি যখন অভিমানী হও —
সব ভালোবাসা এখানে এসে স্থির হ’য়ে যায়–
পদানত হতে চায় — উষ্ণ চুম্বন পেতে চায় —
তুমি তো বড্ড অভিমানী, হিমলারের মতো অটল।
তুমি ব’লে ছিলে তোমাকে বুঝতে হলে —
আমাকে কবিতা এবং কবিতার ভাষা বুঝতে হবে
তুমি না-কি নিজেকে কবিতার ভেতর মেলে ধরো
এই জন্মে আমার কবিতা বুঝা হলোনা, তোমাকেও না।
অন্তীম ক্ষনে এসে ভাবছি —
দু’টো বছরের জন্য জীবনে এসে কি দিয়েছিলে —
হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে আগ্নেয়গিরি তৈরি করলে
স্বপ্নগুলো পুড়ালে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে।
তুমি দুদণ্ড সুখ চেয়েছিলে, আমি-ও চেয়েছিলাম
সব চাওয়া কি আর পূর্ণতা পাই —
কিছু চাওয়া অপূর্ণতায় থেকে হৃদয়ের রক্ত চুষে খায়
অবশেষে তুমি নিলে কবির কবিতার ভিতরে ঠাঁই।