আমার পাখি নন্দনা (ছোটদের কবিতা) – অসীম চক্রবর্ত্তী
কনকচূড়া কামিনী পুস্প
স্বর্ণচাঁপা বেরিয়া
হরেক রকম পুস্প বৃক্ষ
রয়েছে গৃহ ঘিরিয়া।
দোয়েল কোয়েল ময়না চড়াই
বুলবুল টিয়া ভ্রমরে
ভরিয়ে স্নিগ্ধ কলরবে
মাতায় সকাল দুপুরে।
আমারই পাখি নন্দু টুনি
খাঁচায় বন্দী অভিমানি
দুঃখ ভারী শুধায় স্বরে
শুধুই করে কানাকানি।
দাদাই সেদিন ধরলো তারে
রাস্তা কলের উঠোন ধারে
রাখলো খাঁচায় বন্দী করে
খোলা জানালার উল্টো পারে।
শুনছো কি ওগো দোয়েল কোয়েল
ময়না টিয়া ও চন্দনা…
দেখেছো কি তোমরা আমার
ছোট্ট টুনি ‘নন্দনা’?
মুক্ত করেছি বন্দি আজই
আর যে বাধা নাইরে
স্বপ্ন বুঝি সত্য হলো
ওড়ার ইচ্ছে বাইরে।
পারো কি তুমি আমায় দিতে
ছোট্ট তোমার পাখা
উড়বো আমি টুনির সাথে
রইবে না সে একা।
কথা দিলাম তোমায় আমি
রাখবো নাকো বেঁধে
বন্ধু হয়তো হারিয়ে আকাশে
যাচ্ছে শুধুই কেঁদে।
ঝাঁক বেঁধে সব উড়বো মোরা
থাকবো এক সাথে
কনকডালে বাঁধবো বাসা
মিলবো সবাই রাতে।
ডেকে মা আমায় খাবার দিলে
সবাই মিলে খাবো
মনের সুখে ডালে ডালে
যেথায় ইচ্ছে যাবো।
বাবা আসলে চুপটি করে
ঘুমিয়ে সবাই যাবো
ও দোয়েল কোয়েল আমার কথা
একটি বারতো ভাবো।
খাঁচাখানি জানলা পারে
খুলেই আমি রাখি
আমার টুনি আসবে ভেবে
শুধুই চেয়ে থাকি।
দেখতে দেখতে আমি ছোট্ট
হয়ে গেলাম বড়ো
টুনির কথা মনেই পড়েনা
নতুন ভাবনা জড়ো।
খাঁচার উপর উড়ে বসে
অনেক পাখিই কতো
আমি দেখি দুরের থেকে
আর ভাবিনা এতো।।