আমি।
মা্নুষের চিত্তে যবে আমিত্বেরই বাস,
জানবি তবে আসন্ন তার চরম সর্বনাশ।
আমার আমার ক’রে যখন মানুষ অহংকারী,
ভাবে আমি অনেক ধনী–অর্থ ভুরিভুরি,
কেহ বা করে নিজের করে দেবত্বেরই আরোপ,
হারায়ে ফেলে সত্তা আপন–শুভবুদ্ধির লোপ,
তখন থেকেই ঈশ্বরের সংগে ব্যবধান,
আমিত্বের অহংবোধে মানুষ খানখান।
তার উপরে রয় না আর জগণ্মাতার আশীষ,
পায় না খুঁজে মানুষ হায় সঠিক পথের হদিশ।
তাই ত’ বলি ওরে বোকা কেন করিস আমি !
এ জগতে ভাবিস কেন তুই অনেক দামী !
আমরা সবাই তুচ্ছ অতি, ক্ষুদ্র তথা দীন,
মায়ের পদে কররে আজি আমিত্বেরই বিলীন।
তবেই আবার লাভ করিবি ভগবানের সংগ,
তাঁর পরশেই জিতবি ওরে নতুন জীবনজংগ।
কিন্তু যদি আমির মোহেই থাকিসরে তুই বিদ্ধ,
তবে ঈশ্বরের দুয়ার জানিস তোর জন্য রুদ্ধ।
হারিয়ে যাবে সত্তা তোর–হারাবি তার সত্ব,
চুর্ণ হবি ওরে মানব – অহংকারে মত্ত।
শোন্ নির্বোধ–এখনোরে যায়নি চলে সময়,
আমিত্বের খোলস ছেড়ে মায়ের পায়ে আয়,
তাঁর কাছে নিজেরে আজ কর রে সমর্পণ,
সবার থেকে বড় সত্য তাঁর ঐ রাঙা চরণ।
———————————————
স্বপন চক্রবর্তী