আমি ছিঁড়ে, ছুঁড়ে যাবো দলে
তোমরা আমাকে যতই মুক্তোর মালা গেঁথে পরিয়ে দাও গলে
সেই বিভৎস দিনগুলি কখনোই যাবো না আমি ভুলে।
অন্তরতম প্রদেশে ঝর্ণার জলের মতো ঝরে ছিলো রক্ত
সেই থেকে হ’য়েছি আমি নিষ্ঠুর আর শক্ত।
চিনেছি আমি হাড়েহাড়ে চিনেছি
দ্যাখেছি আমি তোমাদের বিভৎস মুখখানি।
তোমাদের আথিতেয়তা মনেহয় কুঠারাঘাত
পদদলিত করি আমি তোমাদের সশ্রদ্ধ খাতির।
তোমাদের ধরা মই বেয়ে ছুঁইতে চাইনি আকাশ
আমৃত্যু যদিও গ্রহণ করি বিষাক্ত বাতাস।
এসোনা আমাকে বাঁধতে সামাজিক নিয়মে —
ভেঙে করবো চুরমার, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে পলস্তার।
দ্যাখোনি পরিত্যক্ত দালান থেকে কিভাবে খসে পড়ে পলেস্তারা?
মৃত্তিকার বুকে কিভাবে পদচিহ্ন এঁকে যায় সৈনিকেরা?
আমি উশৃংখল, মিমাংসা করিনা মিথ্যের সাথে
মুছে দাও মোর নাম পান্ডুলিপি হতে।
আমি দ্যাখতে দ্যাখতে বড় হ’য়েছি —
নিয়মের নামে অনিয়ম, বিচারের নামে নির্বিচার
সত্যের অপমৃত্যু, মিথ্যের জয়-জয়কার জয়োৎসব
আমি দ্যাখেছি নিয়মের এপিঠ্-ওপিঠ্ দুপিঠ।
রাতের আঁধারে যাঁরা অপকর্ম অপদস্ত করে —
দিনের আলোতে তারা-ই নবপল্লবের লেবাসে ঘুরে
তোমাদের দেয়া খ্যাতি আমি ফেলে দিলাম ছুঁড়ে
বাঁধতে যেওনা মোরে বাহুডোর, প্রেমডোর কিংবা তিথিডোরে।
আমি দ্যাখেছি ভদ্রলোকের মুখোশের আড়ালের মুখ
খুব ভয়ঙ্কর,বিভৎস,হিংস্র,দোর্দণ্ড,ভীতি ও বিষাক্ত
আমি শুনেছি তাদের মুখের নগ্ন,অশ্লীল,কাদাটে ভাষা
সকল অপকর্মের তারা-ই চাষা।
তোমরা আমাকে যতই মুক্তোর মালা গেঁথে পরিয়ে দাও গলে
আমি ছিঁড়ে, ছুঁড়ে যাবো দলে —
হওক সেটা বুদ্ধি, ক্ষমতা কিংবা গায়ের বলে —
নিজেকে আর জড়াবো না তোমাদের বিছানো জালে।
১৭/০৯/২০২২ইং, সৌদি আরব