একটা বৃষ্টিভেজা বিকেল।
হঠাৎ এক বিকেল বেলা গুমোট গরমে
শ্রাবনের ধারা এলো ঝমঝমিয়ে বারান্দাটায়,
আমি জড়িয়ে পাশবালিশ,তখন ভাতঘুমেতে
হঠাৎ করে তুমিও এলে একলা ছাতায়।
তখন তোমার মেরুন শাড়ি পাতলা ঠোঁট
আগুনমাখা কোমল কোমর চৌম্বকীয়,
ঝোঁকের বশে হুঁশ হারিয়ে ডিগবাজি খেলে
হুকের বাঁধন শিকেয় তুলে সামলে নিও।
সবটা জেনেও তখন আমি ঘাপটি মেরে
ভাবছি শুয়ে আদর করে তুলবে ডেকে,
ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে আমার গালেতে
উঠবি নাকি জল ঢালবো,বললে রেগে।
তাই শুনে আমি তড়াক করে লাফিয়ে উঠে
ম্যানেজ করতে ক্যাবলা হাসি দিলাম হেসে,
তুমিও সটান মুখ ঘুরিয়ে,পর্দা তুলে
উধাও হলে সামনে থেকে ঝড়ের বেগে ।
আমিও তখন বিছানা ছেড়ে নিলাম পিছু
তুমি তখন বৃষ্টিফোঁটা মাখছো সুখে,
পিঠ জড়িয়ে ঠোঁট ডোবাতেই উষ্ণ কাঁধে
হঠাৎ জোরে কনুই- গুঁতো ঠেললে বুকে।
তারপরতে মুখ ঘুরিয়ে কঠিন মুখে
বললে তুমি,সাহসটা যে বাড়ছে বেশ
আমার তখন অবস্থাও বেজায় জটিল
কাহিল তোমারকনুইগুঁতোয়, হচ্ছে মনে আমি শেষ ।
খেই হারিয়ে আমি তখন চুপটি করে
চিবুক তখন মাখছে আমার নোনতা স্বাদে,
সবটা দেখে তুমিও তখন মুচকি হেসে
জল মুছিয়ে আলগা টানে আনলে কাঁধে।
বৃষ্টিভেজা বিকেল জমাট হলো আলিঙ্গনে
আনলে জোয়ার কানের লতি কামড়ে ধরে,
তারপরেতে বন্ধ ঘরে পর্দা টেনে
আলগা হুকে বাঁধলে আমায় সুখের ঘোরে।
এরকম হঠাৎ বৃষ্টিভেজা বিকেল এলে
আঁকড়ে ধরে বক্ষমাঝে সামলে নিও,
হাঁটার পথে যতই আসুক কঠিন বাঁধা
তোমার ঠোঁটেই মিলুক আমার উত্তরীয়।।