করছি বাবার সুস্থতার ফিকির
পরিবার পরিজন ছাড়ি
জীবন জীবিকার তাগিদে মরুর বুকে দেই পাড়ি।
দ্যাখতে পারিনা প্রিয়জনদের মুখ
সেই যাতনা চিতায় দগ্ধ হয় এই বুক।
যাঁর ছত্রছায়ায় হ’য়েছি বড়, নির্ঘুমতায় থেকে বলতেন পড়ো
অসুস্থতায় ভুগছেন অধমের কা’বা-প্রিয় বাবা।
হায় আল্লাহ, পরাক্রমশালী রব —
শিফা দান করো বাবাকে, বিলিয়ে দেবো সব।
তপ্ত রোদে ধরেছেন ছাতা —
উদর পুরিয়ে করিয়ে আহার নিজে থেকেছেন ভুখা।
বাবা মোর শ্রেষ্ঠ সম্পদ, নিও না তুমি কেঁড়ে —
আমাকে নাও, আমাকে নাও বাবাকে দাও ছেড়ে।
দু’হাত তুলেছি আরশ পানে —
সুস্থতার ফরমান পৌঁছে দাও বাবা-র কানে।
বাবার শিশুসুলভ আচরণ —
হয়না যেনো প্রতিবেশীর ব্যাথার কারণ —
দেবো লোহিত রক্ত বক্ষ বিদীর্ণ করি
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো ছোট-বড় পাপ খানি।
যখন এসেছিলাম ভবে —
কতো জায়গা ঘুরিয়েছেন মোরে কাঁধে ল’য়ে
দিনাতিপাত করেছেন অতি কষ্টে —
মোদের রেখেছেন তুষ্টে —
নিজে খেয়েছেন সিঙ্গারা আর জল –
গায়ে পেতে বল, মোদের খাইয়েছেন ফল।
এমন বাবা হ’য়ে আছেন আজ শিশু —
আমি নরাধম, করতে পারছি না কিছু
দারিদ্র্যতা নিয়েছে মোর পিছু —
জীবন জীবিকার তাগিদে হ’য়েছি অনিবাসী —
রাত্রি হয়না ভোর, দ্যাখিনা সুখের সূর্যোদয়।
বৃদ্ধ হলেও বটবৃক্ষ —
বুক পেতে দেন ধেয়ে আসা ঝড়ে –
বিদ্যুতের খুঁটির মতো দাঁড়িয়ে থাকেন –
চলন্ত পথ রুখে দেন লাঠি খঞ্জরে পাকড়াও কারী দলের।
ক্যামন খেলা খেলছো তুমি বসে সপ্তকাশে
সুস্থতার বৃষ্টি ঝরাও বাবা-র হৃদাকাশে
হাসির ঝর্ণাধারা, দূর করে মোর ব্যাথার ফোয়ারা
নির্মল হাসি, নির্মল প্রাণ-যম-যাতনা করো আসান।
তব কুদরতি পায়ে ঠুকে মাথা —
বিলিয়ে দেবো সব যা ছিলো মস্তিষ্কে গাঁথা
বাবা মোর তপ্ত রোদে ছাতা, ছুঁচোলো শীতে কাঁথা।
ইয়া রব –
তব নিরানব্বইটি নামে ধরে জিকির
করছি বাবার সুস্থতার ফিকির
নিরানব্বই ভাগ ভালোবাসা রেখেছো তব ভান্ডারে
এক ভাগ পেয়ে মানাতে পারিনা মনটা-রে।
১৩/০৮/২০২২ সৌদি আরব