চেতনা
খিল দেওয়া মন দরজায়
কড়া নাড়ে প্রখর বাস্তবতা।
দরজায় এসে আবারও কোন কাঙাল হাঁকে—
‘চেতনা বাড়ি আছো?’
হাজার কোটি বছরের শিকল পড়িয়েছ আমার পায়ে।
মুক্ত করো আমায়।
আমি বজ্রের মতো চিৎকার করে
চেতনা জাগাতে চাই।
এ কোন জীর্ণতা নিয়ে দরজার কাছে তাকিয়ে দেখি —
হাজার কোটি বছর না খেতে পাওয়া দুটি চোখ,
গিলে ফেলছে আমায়। গিলে ফেলছে
রাজা-প্রজা, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে।
ঢেকে দাও, ঢেকে দাও আমায়।
বীভৎস দুই চোখ, কম্পিত আমার হৃদয়।
বিনিদ্র রজনীতে ভেসে আসে দেখি বিধ্বংস যন্ত্রণার কান্না।
ওই কার মেয়ে! ওই কার বোন!
ছিঁড়ে খেলো জানোয়ার।
বিনা প্রতিবাদ কিংবা বিনা লড়াইয়ে,
এভাবেই —
এভাবেই হয়তো কেটে যাবে কয়েক শতাব্দী।
কত রাত প্রহর জুড়ে রয়ে যাবে হয়তো
এ জাতির কান্না।
হয়ত এ পাষাণ মনের বজ্রাঁটুনি একবার খুলবে,
হয়তো সেদিন মনে পড়বে,
হয়তো,
হয়তোবা,
সে ছিল আমাদেরই বোন, ছিল আমাদেরই ভাই।
ঝাপসা হয়ে আসে মন , জানলার কাঁচ মুছে আবারো চিৎকার করতে থাকে হৃদয় —
মুক্ত করো আমায়।
আমি বিধাতার সাথে কথা বলে,
অন্তত শান্তি আনতে চাই।