জীবন
সে গর্ভে থাকাকালীন, আমি তাকে গিয়ে দেখে
আসতাম
বাঁশের খুঁটির উপরে টালির চাল
নীচে দেওয়ালহীন সেই ঘরটায় সারি দিয়ে রাখা টবের গাছগুলো
আমি জল দিতাম, নোংরা বা পোকা দেখলে
হাত দিয়ে সরিয়ে দিতাম
যদিও তার জন্মাবার সময় আমি ছিলাম না
তবে শৈশব কৈশোর যৌবন
তারপর তার বার্ধক্য আমি দেখেছি
সে হাওয়ায় দুলতো
হাসতো খেলতো
কথা বলতাম আমি তার সাথে….
শেষের দিকে কুঁচকে ছিল তার পাপড়িগুলো
এবং সে তখন নুব্জ
বেড়ার ধারের আগাছাগুলো কেটে দেওয়া হয়েছিল, তবুও মুখ তুলেছিল
ঘাসহীন পাশের সরু জমিটা বৃষ্টির জলে নরম
আর সেখানেই পড়ে ছিল ফুলটা
কি অদ্ভুত, আমি তার মৃত্যুর সময়েও পাশে ছিলাম না
তারপর রোদ এলো, বৃষ্টি হাওয়া এলো
পোকামাকড় আরও কারা কারা এলো….
তাকে ধংস তারপর সৃষ্টির কাজে লাগানোয়ে ব্যস্ত হল সব।।