জীবনের ক্যালিগ্রাফি
মগজ যা ভাবে দুচোখ তা দেখে না এ সংসারময়;
না, এ তো এক ঘড়া জল মাত্র; জীবন-দায়িনী সুধা নয়!
এ যে নীল নির্যাসের ভান্ড,যার গভীর অতলে
আকন্ঠ বিলীন হয়ে আছে সকলে
কী বিচিত্র ধাম! ততোধিক বিচিত্র স্বভাবের
দায়ে ভরা দিনরাত একাকার, যেখানে বৈভবের
ডানায় ভর করে করে কেউবা পাঁচতলায় ইচ্ছে-ঘুড্ডি উড়ায়,
আবার কেউবা গাছতলায় ভবিতব্যের বীজ কুড়ায়
যারা রাম-গেলাস হতে স্বপ্ন উড়ায়
ছায়াহীন আকাশে, ঐ যারা জীবনের পদাবলী গায়
কেবলই যাপনের শূল-বিছানায়
মল্লার রাগে, তারা বিপরীত সত্তা
এখানে মানুষ জীবনের ছকেবাঁধা,
নাকি মানুষের ছকেবাঁধা জীবন ঘোরে গোলকধাঁধায়!
আজও তা আমি বুঝিনিকো হায়!
এখানে ভালবাসা আকাশ-কুসুম, সুখ!
সে তো সোনার হরিণ; থাকে বেজায় বিমুখ
আর কষ্ট! সেতো সলিড-সুলভ একেবারে
তাকে ধরা যায় সহজে, ছোঁয়া যায় বড্ড আপন করে
বেবাক বৈকল্যে তাই এই নিসাড় চরাচরে
আজ অস্তিত্বের আস্তানা ভেসে গেছে একেবারে;
মিলে গেছে সুদূর শূন্যতায়
শুনেছি, ভবা পাগলাও পাগল হয়ে গেছে প্রায়।
(০৬১১২৪, ঢাকা।)