দগ্ধ শিরোনাম
বাংলা আমার চিরকাল সবুজে টইটম্বুর!
ফসলের অফুরন্ত মাঠ আর গোলাভরা ধান সহ আমাদের আশ্বাসভূমি ছিল এক ।
কিন্তু আগুন আজ তার অথৈ সবুজের শেষটুকু স্বস্তি জ্বালায়।
আমাদের এই সাধের বাংলায়
কত লোককথা রূপকথায় সাজানো প্রাম্তর
সব আজ নাশকতার শেকলে আদিগন্ত বাঁধা। যে কোনো মুহূর্তে ঘাতকেরা ঢুকে পড়ে
আর গ্রামবাংলার গর্ভগৃহে অশান্তির পর অশান্তি করে রোপণ।
মায়ায় ভরা টলটলে শান্ত পুকুর হিংসায় ভরে ওঠে সহজে। রক্তগাথা রোজকার উপকথা সাম্প্রতিক বাংলার। অভ্যস্ত প্রতিক্রিয়া সহ পাঠকেরা না চমকেই সেই অবাঞ্ছিত উপকথা পড়ে নেয়।
হাজার হাজার ঘাতক আজ
পশ্চিম দিকের বাংলায় দাপটে ঘোরে
একদম খোলাখুলি, গ্রাম তার মুখ্য নিশানা।
আতঙ্কে শুকিয়ে গিয়েছে গ্রামীণ সবুজ,
বাংলার অন্দরের সৌন্দর্য হিংসার পায়ের তলায় লুটোপুটি খায়।
অপূর্ব বাংলার মমতাময়ী মাটি আজ নিজেরই সন্তানের হাতে প্রতি দিন ধর্ষিত,
সর্বনাশের পরে কোনো রকমে নিজেকে গুছিয়ে নেয় পরের ধর্ষণ-দিনের জন্য। সহ্যশীলা মৃত্তিকা
চুপিসারে নিজের রক্ত ধুয়ে
পরের রক্তবৃষ্টি ধারণ করবে বলে তৈরি হয়।
বাংলার গ্রাম আজ নিজেরই রক্ত নিয়ে দৈনিক হোলি খেলে, নারকীয় রঙ-পরব থামাবে তেমন সন্তান তার বেঁচে নেই আর।
দেখা যাক, পেটে এক জন বড় হচ্ছে
যদিও ধর্ষণের পরিণতি, অবাঞ্ছিত মিলনের অস্বস্তি, তবুও মায়ের কান্না দেখে দেখে
বাধ্য হয়ে সেই হয়তো ধর্ষক-হত্যাকারীকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেবে। তত দিন পশ্চিম ভূমি
নিজের নিরানন্দ শীৎকার শুনতে শুনতে
সন্ত্রাসের সামনে নত হ’তে হ’তে কোতোয়ালের কীর্তন আর বিরোধের সঙ্গত শুনে যাক।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest