নীল মৃত্যু
এখন সবি মৃত।
কেউ নেই আর আশেপাশে
চারিদিকে শান্ত নীরবতা বিরাজ করছে।
নক্ষত্র’রা মুছে গেছে আকাশের বুক থেকে
নিভে গেছে একটা নীল তারার আলো।
মৃত চাঁদ রক্তমাখা নখের তলোয়ারে
পাহারা দেয় মৃতের দেহ ফুল ফোটা ফাগুনে।
আকাশ বাতাস মরু পাহাড়
কত না সুন্দর তাদের বেঁচে থাকা
তবুও জীবন সুন্দর
তার চেয়ে ঢের বেশি সুন্দর
সত্যকে জিতিয়ে লওয়া।
জীবন চঞ্চল, বেঁচে থাকা চঞ্চল
চঞ্চল সবি থেকে যাওয়া চাওয়া পাওয়া।
মৃত রাত্রি নিশানার মিনার
রক্ত পিপাসার সংকটে
এই শহরের পথে পথে
জীবন্ত মানুষের খোঁজে।
কখনো প্যারিসের আইফেল টাওয়ার হতে
কখনো ফ্লোরেন্স শহরের রাজপথে
মৃত্যুর নিকট হতে চেয়ে দেখি
আকাশ ঢেকে গেছে কালো মেঘে।
তবুও মৃত্যুর প্রহর মিশরের পিরামিডে
মমির সমাধি, নীল ডায়েরির কারাগারে।
সেদিনও কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল থোকা থোকা
গাছের মগডালে। কখনো-
ইতালি ম্যাসিডন গ্রীসের মতন হতে চেয়েছে
আমাদের ভাঙা শহরের রাস্তাগুলো।
কিন্তু নেই আর কৃষ্ণচূড়ার সেই লাল ফুল
নেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া।
কিংবা বসন্ত উৎসবের নীল আবির
আর দেখা যায় না।
সেখানে শুধুই মৃত্যু , ভেজা লাশ
কফিনে মোড়াবার লোকেরা এখন ব্যস্ত
জানি না কোন্ নেশায়।
কখনো ভাবিনি আমি টেমস্ নদীর রহস্য!
কিংবা হাঁটতে পারিনি টেমস্ নদীর জল টানেল-এ
কিন্তু আমি হেঁটেছি আমার শহরের মিথ্যা রাজপথে।
তারপর নীল মৃত্যু
টাওয়ার অফ লন্ডনের পথে পথে,
চিরচেনা নীল বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে
হেমন্তের শিশির ঘাসে ঘাসে।
এভাবেই সমস্ত দিন রাত্রি
যুগের পর যুগ শতাব্দীর পাতাতে।।