নয়নাভিরাম
তোমার ঐ চোখে আমি সমুদ্র দেখেছি,
আমি দেখেছি তরাই-এর জঙ্গলের গভীরতা,
আমি দেখেছি সমুদ্রের সঙ্গম, নদীর মিলন
আরও কত কিছু…
যেদিন বৈশাখের প্রখর রোদে দুপুর বেলা
একাকী কোকিলের ডাকে, নিস্তবদ্ধতা ভাঙ্গে-
আমি সেদিনও দেখেছি, ঐ চোখে-
মুকুটমনিপুরের নীলাভ জলরাশি,
যে নীল রঙ, আমি শরতের আকাশেও দেখেছি ৷
ঐ আখিঁ, ঐ নয়ন-
আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সেখানে,
যেখানে বাঁশিওয়ালার ডাকে,
গনেশের বামনেরা একসাথে হয় ৷
ঐ নয়ন আমাকে মনে করায়-
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের হেমনলিনী কে;
মনে করায়-জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেনকে;
আমাকে মনে করায়-
শিউলি ঝরা শীতের সকাল;
প্রবল শীতে, আমাকে মনে করায়,
কাজিনের সঙ্গে শেয়ার করা গরম লেপ ৷
আমাকে মনে করায়-
ভালোলাগা থেকে ভালোবাসায় পৌছানোর অনুভূতি!
আমাকে মনে করায়-
যৌবনে, নাম না জানা মেয়েটার প্রথম স্পর্শ ৷
আমাকে মনে করায়-
আবির মাখা ঐ মেয়েটার গান-
“বসন্ত এসে গেছে…”
আমাকে মনে করায়-
রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার, ঝরা ফুলের
ঐ প্রশস্ত পথ ৷
আমি হারিয়ে যাই, কোন এক অচীন দেশে;
যেখানে ঐ চোখ কথাবলে, কবিতা বলে,
আমাকে ঘুম পারায়;
আমাকে, ঘুমের দেশে নিয়ে যায় ৷
…সেই আনন্দ, সেই তৃপ্তি,
আমি চেটপুটে নিয়েছি;
আমি পটল চেরা চোখ দেখিনি,
কিন্তু আমি তোমাকে দেখেছি;
আমি তোমার নয়নকে উপলব্ধি করেছি,
আমি নয়নাভিরাম হয়েছি ৷
হ্যাঁ, আমি নয়নাভিরাম হয়েছি ৷৷