বালিস
সে দিন আমার বুকে মুখ লুকিয়ে তুমি কাদছিলে
ভুলিনি আমি সে দিননের কথা।
অনিন্দ্যসুন্দর তাহার মুখখানা নিষ্পিষ্ট হয়ে গেল যেন তাহার অশ্রুজলে।
নিস্তব্ধ বিকেলের সেই অন্ধকার ঘরে তুমি আমি রয়ে গেছি একা।
কেহ নেই ঘরে তোমাকে আগলে রাখার মতো আমি ছাড়া।
তাহার অব্যক্ত বেদনা যেন অশ্রু হয়ে পরছিল আমার কোমল রিদয়ে।
তবুও চুপটি করে বসে ছিলাম সেই অন্ধকার জগতে।
মনে পরে সে দিনগুলো আমার
সকাল,বিকেল,সারারাত জরিয়ে রাখতে আমায়।
তুমি উপুর হয়ে শুয়ে ছিলে
আমি পাশে বসে ছিলাম।
তুমি একখানা বই পড়িলে
আমি মুগ্ধ হয়ে বসে দেখছিলাম
অনুভুতিটি ব্যক্ত করার সামর্থ্য রইলো না আমার।
পরনের সেই লাল শাড়িও যেন
অপূর্ব দেখাচ্ছে তার দেহে,
অন্যমনস্ক হয়ে হাতটা একবার রাখিল আমার উপর,
সমস্ত শরীরে যেন বিদ্যুৎ বইতে লাগলো।
তবুও তা বলিবার আমার কোনো ভাষা রইলো না।
সর্ব হয়ে তার পাশে ছিলাম
নিত্যসঙ্গী হয়ে।
তাহার হাসি,কান্না,দু:খ সবই যেন অনুভব করতে পারতাম,
তবুও সে কখনো ভাবিত না আমার কথা।
আসায় ছিলাম একদিন হয়তো ভাবিবে আমার কথা।
একদিন আসিল সে দিনখানা
সে আসিল আমার কাছে,
কিছুক্ষণ চেরে রইলো আমার দিকে
আমি চুপটি করে দেখলাম তাকে,
দেখলাম তাহার চোখ থেকে অশ্রু গরিয়ে পরছে।
নিমিষেই সে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে
আমি অবুঝ হয়ে বসে রইলাম।
বুঝার রইলো না আর কিছু আমার
লাল শাড়ি লাল সিঁদুর দেখে।
তবুও চুমটি করে বসে রইলাম
তার আহবানের আসায়।
সে আর এলনা আমায় দেখিতে
এলনা আমায় বিদায় বলিতে।
ঘরের সকল স্মৃতি যেন মুছে গেল
একে একে।
রয়ে গেলাম আমি একা
সেই অন্ধকার ঘরটিতে।
আমি জানি সঙ্গি হতে পারবো না তাহার,
কারণ জীবন মরণ নেইজে আমার।
তার সঙ্গি ছিলাম বালিস হয়ে
তাকে ছাড়া রয়ে গেছি তাই।।