বেওয়ারিশ ব’লে নীরবে চলে যেও
যদি কখনো হঠাৎ হারিয়ে যাই
তাহলে একটু লাশ ঘরে খোঁজ নিয়ে দ্যাখো
হয়তো বেওয়ারিশ লাশের ভিড়ে পেয়ে যাবে
হাত দিয়ে কখনো স্পর্শ করোনা –
দুঃসাহস করিওনা ছুঁয়ে দ্যাখার।
কাঁচা রক্তের ঝাঁঝালো গন্ধে ঘুম আসবে না স্বাচ্ছন্দ্যে।
এই পৃথিবীতে কতো শত মানুষ মরে
কে তাদের খোঁজ রাখে?
ফিরতে পারে কি সব লাশ পিতৃ ঘরে?
কিছু পড়ে থাকে বনজঙ্গলে,কিছু খাবার হয় পশুর
কিছু পড়ে থাকে লাশ ঘরে –
কিছু দাফন হয় বেওয়ারিশ হিসেবে।
লাশ ঘরে ভুলেও বলিওনা তুমি লাশটাকে চেনো
চোখে জল ঝরিওনা অজান্তে –
তাহলে ঝামেলা পোহাতে হবে
টানাহেঁচড়া করতে হবে
এমনকি নির্জন রাতে একাকী দেয়া লাগতে পারে লাশ পাহারা।
ওঁরা সব কেটেকুটে রেখে দেবে –
তোমাকে নিয়ে চিন্তা করার মস্তিষ্ক, কলিজা, ফুসফুস
যে চোখ দু’টো সহস্র বার দ্যাখেছিলো তোমার মুখ
সেই চোখ দু’টোও খোলে রেখে দিবে।
মুখটা দ্যাখার জেদ কখনো করিওনা
কপোলে থাকবে বড়োবড়ো সেলাই
চোখের কুঠরীতে জমাটবদ্ধ তাজা রক্ত।
তোমার বিরহে বামহাতে সিগারেটের আগুনে পুড়ানো দাগগুলো দ্যাখে চিনে –
বেওয়ারিশ ব’লে নীরবে চলে যেও।
৩১/০৫/২০২২ সৌদি আরব