মেয়ে’যোনি’ত
একবার নয়, বারবার তোমার যোনি খুঁড়ে খোঁজা হবে সভ্যতা!
রড, বোতল, ব্লেড, সূচ… প্রয়োজনে বেলচাও লাগতে পারে,
তুমি যতোটা পারো এলিয়ে দিও, দু’পায়ের ভাঁজ।
রাত্রে বেলা ঘুমপাড়ানির নয়, উত্তেজনার গান শুনিও বরং…
ডাগর-ডোগর, ডোবকা, মাগী, রেন্ডী…শোনাগুলো অভ্যেস করে নাও,
বিছানা থেকে বিছানা ঘোরার দায় তোমার চিরকালীন।
বেলাশেষের ক্লান্তিতে অ্যাসিড আর থুতুতে ধুয়ে নিও মুখ,
কেঁদোনা। সাতজন্ম ধরে তোমাকে মেয়ে হয়েই জন্মাতে হবে…
বাসে-ট্রামে-ট্রেনে নরম মাংসের সঙ্গে পুরুষ্ট হাতের সন্ধি প্রজন্মগত।
ব্রা-এর স্ট্রিপ, প্যান্টির ব্র্যান্ড, বুকের ভাঁজ খুব যত্নে ঢেকে রেখো,
পড়াশোনা, চাকরি-বাকরি ছেড়ে ‘আইটেম’ তৈরী করো নিজেকে।
আদরের সময় দাঁতে-দাঁত চেপে সহ্য করে নিও, সমস্ত কামড়।
ঘরে না ফিরলে ভয় পেওনা। কোনোও না কোনোও ঘর তোমার জন্য ঠিক বরাদ্দ আছে।
স্বপ্ন-ভালোবাসা-শখ-আহ্লাদ এগুলো ভীষণভাবে আপেক্ষিক।
আয়নার সামনে নিজেকে চেনার দুঃসাহস দেখিওনা ভুলেও।
আর সবশেষে আরও যতোটা পারো দু’পা এলিয়ে দিও শুধু…
একবার নয়, এভাবেই বারবার তোমার যোনির ভেতর থেকে খুঁড়ে আনা হবে সভ্যতা…
ভয় পেওনা! রডটা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।