তিন চাকার গাড়ি আমি
গরিবের কাছে অনেক দামি,
মালিক আমার প্যাডেল ঘুরায়ে
কামাই করে দু চার পয়সা কড়ি ।
শহরের বড় বাবু-আপারা ডাকে ঔ রিক্সাওলা যাবিরে
অসহ্য রোদে ও বৃষ্টিতে পুড়ে মালিক আমার গন্তব্যে পৌছায় সাহেবকে,
তবুও একচুল নরিলেই গালি শালা ঠিক করে চালাতে পারিস না রিক্সাটাকে,
কখোন বা ক্ষমতার বাহাদুরিতে রিক্সাওলার উপহার লাথি,থাপ্পড়,গাল মন্দ আরও কত কি যে ।
হন্ত দন্ত হয়ে হস্তির মতো কিছু মানব এসে চরে আমার পিঠে
ব্যস্তার ভাষায় ধমকায় ঐ রিক্সাওয়ালা তাড়া তাড়ি যাওরে,
টাকাওলারা ভাবে, রিক্সাওলারা ছোট লোক, নিচু জাত,সুযোগে সত ব্যবহার করে,
আমি বলি নতয়তো সে চোর, দুমুঠো অন্য যোগায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে।
গরিব বলে ঘৃনার চোখে
দেখনা বন্ধু রিক্সাওয়ালাকে ,
তারা বড়ই অভাবী,পথে ঘাটে অত্যাচার এর শিকার সর্বদা এই বাংলাতে,
চিন্তা করে দেখ তারা রিক্সা না চালালে
দ্রুত গন্তব্যে পৌছাবে তোমরা কেমন করে ।
দূর্নীতি,নারী, মদের নেশায়
বিভর যখন তোমরা জগতে,
রিক্সাওলারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দুবেলার খালি পেটের অন্নের সন্ধানে,
তখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, সারা রাত দিন ভর পরিশ্রম করে।
বন্ধু কর্ম দেখে ঘৃনা করোনা কাউকে
মানুষের বড় ধর্ম হালাল কর্ম এ জগতে
হে মানুষ করো সম্মান হোক ছোট, বড়, উচু,নিচু,কালো,সাদা সব কিছু ভুলে,
সবই তো খোদার সৃষ্টির অব কাঠামো যে।
দুই দিনের এই দুনিয়াতে সবাই মুসাফিররে
অর্থের বড়াই ধ্বংশের দারে সপে দিয়োনা নিজেকে
রিক্সাওয়ালারাও মানুষ
তোমার মত এই সুন্দর দুনিয়াতে ।
বাংঙ্গালি কবি সাইমুন খান ১৯৯৭
সালের ২রা জানুয়ারি বরগুনা জেলার
বিষখালি নদীর তীরে ভোড়া
বেতমোর গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম
পরিবারে জম্ন গ্রহন করেন তার প্রকৃত নাম আলিমুশ্বান সাইমুন। তার পিতা
মাওলানা মোশারেফ হোসেনে এক
জন সরকারি চাকরি জীবি ( শিক্ষক ) এবং মাতা
সাহানা শিরিন তালুকদার এক জন
সরকারি চাকরি জীবি ( শিক্ষিকা ) । পিতার চাকরি সুবাদে পটুয়াখালীতে বসবাস করেন ।
কবি ২০১২ সালে বরগুনা জেলা স্কুল
থেকে ম্যাট্টিক পাশ করেন এবং প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১২ সালে ভর্তি হন বরিশাল এর ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট এ ডিপ্লোমা মেরিন
ইন্জিনিয়ারিং এ। এরই মধ্যেই রাজনৈতিক একটি দলের সাথে জড়িয়ে পড়েন কবি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কবির পড়াশুনা ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্য কবি তার প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন মাটি দিয়ে নতুন করে সামনে চলার লক্ষে ২০১৪ সালে খুলনা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হন ২০১৬ সালে এইচ এস সি পাশ করে এর পর ২০১৬ সালে খুলনা বি এল কলেজ থেকে বি এস এস ( সম্মান) পাশ করেন। বর্তমানে মাস্টাস এ অধ্যয়ন রত।
কবি সাইমুন খান কৈশোরকাল থেকেই সাহিত্যচর্চায় নিজেকে মনোনিবেশ করেন। কবির সাহিত্য জগতে সব শাখায় পদচারন রয়েছে ।
তিনি একাধারে " কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রবন্ধকার, অভিনেতা, সমাজসংস্কার, ইসলামীক মোটিভেশনাল স্পিকার, ইসলামী সংগীত শিল্পী, যুক্তিবাদী এবং ব্যবসায়ী ইত্যাদি।
মাত্র ২০ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা " আহ্বান " কাব্য ও কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বাঙ্গালি কবি সাইমুন খান এক জন
নাট্যকার, এবং বাংলাদেশ বেতার
খুলনার এক জন নিয়োমিত নাট্য
অভিনেতা ছিলেন এবং বরিশাল থিয়েটার এর মাধ্যমে ২০১৩ সালে হাতে খড়ি হয় মঞ্চ নাটকের। তার পর খুলনা নাট্য নিকেতন এ জাতিয় নাট্য পুরস্কার প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম স্যার এর হাতে নাটকের পথ চলেছেন বহু বছর।
বাংঙ্গালি কবি সাইমুন খান অভিনীত ★টেলিফিল্ম " প্রেম অন্ধ " (২০১৬)
★সিনেমা " জান্নাত " ( ২০১৮ )
বাঙ্গালি কবি সাইমুন এর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো
★ আহ্বান (২০১৭) আবার হবে দেখা, স্বাধীনতা মানে কী, স্বার্থপর, নির্বোধ জাতি, প্রতিশ্রুতি, রিক্সাওয়ালা, মা (২০১৭ ), অভিশপ্ত, শিক্ষাঙ্গন ইত্যাদি
★তার রচিত উপন্যাস হল
" ছলনাময়ী নারী,,
★তার রচিত নাটক
" রাতের প্রহরী ।
★২০১৫ সালে খুলনা নাট্যনিকেতন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি সম্মাননা পর্বে কবি সাইমুন খান কে ★ বাংঙ্গালি কবি ★ উপাধি দেন জাতিয় নাট্য পুরস্কার প্রাপ্ত ( অভিনেতা ) নাট্য পরিচালক,নাট্য প্রযোজক, নাট্যকার, সিরাজুল ইসলাম স্যার ।
বর্তমানে কবি বিভিন্ন পত্রিকার সাথে জড়িত এবং কবিতা চর্চা ও জিবিকা নির্বাহর লক্ষে ব্যাবসার সাথে জড়িত আছেন।