শাশ্বতী ছিলে তুমি।
থাকল ভরে বকুলফুলে,
পুরনো বিকেলগুলো।
কত কবিতা লেখা রয়ে গেছে,
হিসেব রাখিনি সে’তো।
এমনি আমার বেহিসেবী দিন,
অবশিষ্ট পড়ে আছে,
জাগলে পরে, সইব না’হয়,
পুরনো স্মৃতি ঘিরে।
রাঙানো বিকেল,পড়ে এল’যে,
পাখির বাসায় ফেরা,
এক বিকেলে ফিরছি আমি,
বাংলা পড়া হলে,
গাছে ছাওয়া ইউনিভার্সিটি,
দুপুরের ক্লাশ শেষে।
তোমার চোখে, দু’চোখ রেখে,
জীবনানন্দ খুঁজি।
সোনালি চিল একলা ওড়ে,
রাজকন্যা আঁকি।
আমার কাছে চাইলে তুমি,
‘সুধীন্দ্রনাথ আছে’?
‘লাইব্রেরিতে পাইনি আমি’,
‘শাশ্বতীর খোঁজ করে’।
আমার আছে সুধীন্দ্রনাথ,
কালকে দেব তোমায়,
মনে, মনে ধন্য হলাম,
কিছু’তো, চাইলে আমায়।
ভুলে গেছ,আমায় তুমি,
বইটা ফেরৎ দিতে,
দিন ফুরলো, হল ছুটি,
ইউনিভার্সিটির পড়া শেষে।
তোমার কথা থাকল মনে,
কত’না দিন পরে,
থাকল কত ও’নয়নে,
হিয়ার কথা মিশে।
ভুলেই গেছ এখন আমায়,
রাখোনি তোমার স্মরনে।
তোমায় কখনো ভুলবোনা আর,
পারিনি তোমায় বলতে,
সুধীন্দ্রনাথের বইখানি আর,
খুলবে না আমি জানি,
জানলে না’তো, জীবনে আমার,
শাশ্বতী ছিলে তুমি।