শেষ ঈশ্বরী !
দিনশেষে পাখা ঝাড়া সারসের পালকের ডগায় জীবন,
ইতস্তত উড়ে যায়, ছোট ছোট বিপন্ন ভুবন,`
নিজেদের কথা বলে,
ছোট ছোট জলবিন্দু অর্থহীন অস্তিত্ব যেমন
চোখ বুঁজে, মুখে ও মুখোশে পরিচয়, ভুলে যায় সন্ধ্যা ঘনালে।
তুই খালি বসে, অবশেষে, শর্তহীন কাকচক্ষু জল,
শুধু হলাহলে ক্লান্ত, মহাকাল ছুঁয়ে পদতল।
কথাকবি, ভুলে সবই, চোখতুলে দেখিনি কখনো,
তোমার নিবিড় স্তনে, অভিমানে,
মতি বিন্দু প্রেম কাঁদে কেন
আর যে সহজ, জীবনতৃষ্ণার জল, পূর্ণিমার কাক জোৎস্না যোনি,
পূর্ণতার পথে ডাকে, কেউ বুঝি জেনেছিল, মূঢ় আমি, দেখেও দেখিনি
রক্তে নেকড়ের ডাক, উদাসীন সঙ্গম শিখিনি !
জীবন আমন্ত্রণে ক্লান্ত দিন শেষে বৃথা শীৎকারে,
ফিরে গেলে, তবু স্নেহে, বিনা মোহে, এই ওষ্ঠ ভরে
ওষ্ঠ দিলে, প্রেম দিলে, পাহাড়ি ঝর্ণার মতো, অবারিত
প্রাণপূর্ণ বারি দিলে বিশুষ্ক অধরে।
তবু মূঢ়, অবরূঢ় অতিদর্প নিলাজ পৌরুষ, সাপের খোলস,
নিরর্থক বাজি মারে, চোখ বেঁধে ঘুরে মরে,
অহংকারে, যুগে যুগে, অহেতুক বিষই খোঁজে প্রত্যন্ত আঁধারে।
তুই প্রেম, তুই নারী, তুই ভালোবাসা,
অতি সান্দ্র ধরিত্রীর তুই শেষ আশা,
প্রথম প্রহর থেকে সৃষ্টির অতন্দ্র প্রহরী
প্রথম ঈশ্বর তুই, সম্ভবত শেষ ঈশ্বরী !