শেষ চিরকুট
বিদেশিনি,
অন্তরে কেমন অনুভূতি জাগ্রত হলে মানুষ প্রেমে পড়েছে বোঝা যায়?
শুনেছি ভাবনায় ডুবে ইন্দ্রিয়রা সতেজ হয়।
সুখের পরশে তৃপ্তিগুলোর পূর্ণতা লাভ হয়।
চিত্ত সক্রিয় হয়।
আমারো তাই হয়েছে।
বলছি কি,
ওগুলোকে দাবিয়ে রাখা বড় মুশকিল!
তোমার সম্মতিসূচক ইশারায় শীতল হতে চায়।
তরীতে পা ফেলে জলে পড়া মানতে চাইছে না যে।
একটিবার সাক্ষাৎ এর সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গাতে মস্তিষ্কের অণু গুলো বারবার চটপট করে উঠে।
বিদেশিনি,
মানুষের কটি পা হয় বলো দেখি?
তোমার পর্যন্ত পৌঁছাতে কটি পা উপরে ছুঁড়তে হবে?
আঘাত পাবে আশঙ্কা করছো?
হতে পারে।
নয়তো আজ, কাল, পরশু গুলোর চারপাশে এত রুক্ষতা কেন?
বলছি কি,
তর্ক করা বোকামি!
নিজের সাথে বোঝাপড়া করতে গিয়ে তর্কই ঘুরেফিরে নিয়ে এসো না।
শুনছো না?
একটিবার সাক্ষাৎ এর সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গাতে মস্তিষ্কের অণু গুলো বারবার চটপট করে উঠে।
বিদিশিনি,
ও প্রান্তে বাতাসে গন্ধ পাওয়া যায়?
এ প্রান্তে অন্তর দুটি এক হয়ে যে সুমিষ্ঠ সুভাস ছড়াচ্ছে তার?
সখার অপেক্ষার গন্ধ?
মিঠা গন্ধ?
না কি মাঝেসাঝেই মনে হয় মানুষ হারিয়ে যায়!
বলছি কি,
কলমের কালি টুকু অবশিষ্ট রেখে কার পথে দাগ টানবো!
ভাবছি কয়েকটা অংক ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে আড়াল হবো।
অতঃপর কেন?
একটিবার সাক্ষাৎ এর সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গাতে মস্তিষ্কের অণু গুলো বারবার চটপট করে উঠে ।
বিদেশিনি,
কখনো কেঁদেছো কি?
শুনেছি অর্থ বিত্তের স্থূপে দুঃখ চাপা পড়ে যায়।
অহংকারের প্রলেপ দ্বারা জল নির্গতের পথ এঁটে যায়।
বিষ হয়ে যায়।
তোমারও কি তাই হয়েছে?
বলছি কি,
আমার দু ফোটা অশ্রু জল দরকার!
হৃদপিন্ডের কাপুনিটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করবো বলে।
তোমার ঐ ডাগর আঁখি জোড়া দৃশ্যমান হলে,
একটিবার সাক্ষাৎ এর সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গাতে মস্তিষ্কের অণু গুলো বারবার চটপট করে উঠে।
দৈনিক জনতার বার্তা/শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০
দৈনিক নাগরিক ভাবনা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিষাক্ত ভাবনা/ISBN: 978-984-35-6430-6