শ্রাবণ-ধারার আপ্লাবন (ব্যঙ্গাত্মক)

প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

বন্যার জলে ভাসুক না পুরো দেশ
আমরা তো আছি বেশ।
মোদের গগনচুম্বী অট্টালিকা, দ্যাখিনা বৃষ্টির রেখা
খাচ্ছি-দাচ্ছি আর বিন্দাস ঘুমোচ্ছি।
কে মরলো, কে ভাসলো আর কে রইলো অনাহারে?
কেই-বা ঘুরে বুভুক্ষু পেটে? কি’বা ফায়দা তা ঘেঁটে
ভাসুক না মানুষ বানের জলে —
স্বপ্ন মোদের হ’য়েছে সফল -নামাজ পড়বো নফল।
মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে সেতু —
ভেঙেছে দুষ্কৃতকারীর অপকর্মের হেতু—-
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দ্যাখছে বিশ্ব —
মোরা-ই একমাত্র জাতি উন্নয়নের শীর্ষ।
আকাশের জল, নিয়ে এসেছে দল, দ্যাখবে উন্নয়ন
এ নহে বন্যা, আকাশ কন্যা এসেছে তব ঘরে
যায় যদি কিছু প্রাণ, থামবে না উন্নয়নের গান
মোরা দ্যাখিয়েছি বিশ্বকে, হিম্মত কার মোদের রুখে?
আসিতেছে শুভদিন — বাজারে বাজা তোরা বীণ
বিশ্ব ব্যাংক থেকে নেইনি মোরা এক পয়সা ঋণ
আকাশ জুড়ে ফুটবে পটকা—
শক্ত হবে ধান্ধাবাজের খটকা —
আলোকোজ্জ্বল হবে আকাশ–
লাশ পঁচা গন্ধ মুছে দিবে বাতাস।
ভেঙে জরাজীর্ণতা, অগ্রগমনের নিশ্চয়তা —
ধুয়েমুছে যাবে সব পুরাতন–নব সাজে সাজবে কেতন
এ অহংকার, এ মোদের চেতন।
সাইক্লোন, খরা, বন্যা পরমেশ্বরের কন্যা —
কেটে যাবে শোক, জ্বলে উঠবে চুলো —
হবে সুস্বাদু রান্না, অচিরেই বন্ধ হবে এ শোকের কান্না।
বেশ ভালোই আছি —
গিন্নীর হাতের রান্না সুস্বাদু খাবার খাচ্ছি —
শুনেছি আকস্মিক বিপর্য্যয়ে প্লাবিত সিলেট —
জলদি কাটিয়ে উঠবো শ্রাবণ-ধারার আপ্লাবন।

১৮/০৬/২০২২ সৌদি আরব

0

Publication author

0
মোঃ আকাইদ-উল-ইসলাম (মিটু সর্দার)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়মুড়া গ্রামে ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর, এক সম্ভান্ত্রশালী মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম। কবির পিতার নাম নূরুল ইসলাম (মাষ্টার) আর পিতামহের নাম আলতাব আলী সর্দার
Comments: 0Publics: 150Registration: 02-04-2022
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

পরিচিতি বাড়াতে একে অপরের লেখায় মন্তব্য করুন। আলাপের মাধ্যমে কবিরা সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। জমিয়ে তুলুন কবিতার আড্ডা।