শ্রাবণ-ধারার আপ্লাবন (ব্যঙ্গাত্মক)
বন্যার জলে ভাসুক না পুরো দেশ
আমরা তো আছি বেশ।
মোদের গগনচুম্বী অট্টালিকা, দ্যাখিনা বৃষ্টির রেখা
খাচ্ছি-দাচ্ছি আর বিন্দাস ঘুমোচ্ছি।
কে মরলো, কে ভাসলো আর কে রইলো অনাহারে?
কেই-বা ঘুরে বুভুক্ষু পেটে? কি’বা ফায়দা তা ঘেঁটে
ভাসুক না মানুষ বানের জলে —
স্বপ্ন মোদের হ’য়েছে সফল -নামাজ পড়বো নফল।
মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে সেতু —
ভেঙেছে দুষ্কৃতকারীর অপকর্মের হেতু—-
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দ্যাখছে বিশ্ব —
মোরা-ই একমাত্র জাতি উন্নয়নের শীর্ষ।
আকাশের জল, নিয়ে এসেছে দল, দ্যাখবে উন্নয়ন
এ নহে বন্যা, আকাশ কন্যা এসেছে তব ঘরে
যায় যদি কিছু প্রাণ, থামবে না উন্নয়নের গান
মোরা দ্যাখিয়েছি বিশ্বকে, হিম্মত কার মোদের রুখে?
আসিতেছে শুভদিন — বাজারে বাজা তোরা বীণ
বিশ্ব ব্যাংক থেকে নেইনি মোরা এক পয়সা ঋণ
আকাশ জুড়ে ফুটবে পটকা—
শক্ত হবে ধান্ধাবাজের খটকা —
আলোকোজ্জ্বল হবে আকাশ–
লাশ পঁচা গন্ধ মুছে দিবে বাতাস।
ভেঙে জরাজীর্ণতা, অগ্রগমনের নিশ্চয়তা —
ধুয়েমুছে যাবে সব পুরাতন–নব সাজে সাজবে কেতন
এ অহংকার, এ মোদের চেতন।
সাইক্লোন, খরা, বন্যা পরমেশ্বরের কন্যা —
কেটে যাবে শোক, জ্বলে উঠবে চুলো —
হবে সুস্বাদু রান্না, অচিরেই বন্ধ হবে এ শোকের কান্না।
বেশ ভালোই আছি —
গিন্নীর হাতের রান্না সুস্বাদু খাবার খাচ্ছি —
শুনেছি আকস্মিক বিপর্য্যয়ে প্লাবিত সিলেট —
জলদি কাটিয়ে উঠবো শ্রাবণ-ধারার আপ্লাবন।
১৮/০৬/২০২২ সৌদি আরব