সাত কাহন
দেওয়াল ঘড়ির অঙ্ক খুঁজি,
দিয়ে চুমুক চায়ের কাপে।
বৃষ্টি হলেও ভিজছি না আর,
অজানা কোন নিম্নচাপে।
হারাচ্ছি আজ পথের বাঁকে,
রাস্তাটা আজ থাক অচেনা।
সকাল-বিকেল নিচ্ছি হিসাব,
আর প্রহর গুণে মন মানে না।
ইশারাতেও হঠাৎ আমি,
খুঁজেছি সেই তোরই কথা।
মন উজাতন করছে যে আজ,
পুরনো দিনের নীরবতা।
গলা ছেড়ে গাইছি যে গান,
নতুন করে ছন্দ ভুলে।
চিন্তাগুলো হঠাৎ করে,
পড়েছে যে খুব টালমাটালে।
ইশারা গুলো দিচ্ছে সারা,
কথাগুলো সব বাঁধনছাড়া।
ভয় পেলেও লাগছেনা আর,
নিজেকে আগের মত ছন্নছাড়া।
হিসাব চাইলে নিতেই পারো,
মিলিয়ে দেবো ধারের খাতা।
কিন্তু প্রিয় কথা রেখো,
দিওনা আর এ মনকে ব্যথা।
খামখেয়ালী সন্ধ্যেবেলায়,
চাঁদটা ছুঁয়ে দেখবো আবার।
সকালে ঠিক ভোরের আলোয়,
শিশির মেখেই নেব এবার।
শাল শিমুলের বনের ছায়ায়,
ইচ্ছা করেই হারাবো খালি।
কংসাবতীর ধারার বাঁকে,
মেলায় যেমন লালচে বালি।
বিকাল বেলায় পুকুর পাড়ে,
শালিক যেমন ঝগড়া করে।
সেরকম ভাবেই ঝগড়া করে,
হারাবো দুজন তেপান্তরে।
ভয় যদি পাই আবার আমি,
তীব্র কোন বজ্রপাতে।
আঁকড়ে ধরবো হাতটা যে তোর,
সকাল কিংবা রাতবিরেতে।
সত্যি মিথ্যে সব ই মেলায়,
দিগন্তে যেমন মেলায় আকাশ।
কৃষ্ণচূড়ার গন্ধে যেমন,
মাতাল করে ফাগুন বাতাস ।
হাঁটছি যে আজ সাহস করে,
নিজের সীমার বাইরে আমি।
চালাকি গুলোও মানছে যে হার,
কারণ চিন্তাগুলোও বিপদগামী।
তাই যদি তোকে পেতে এবার,
সময় লাগে একটু বেশি।
মিটিয়ে দেবো সব অভিযোগ,
কারন আমি বারোমাসি।